গৌরনদীতে যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২২

গৌরনদী প্রতিনিধি : ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে শশুড় বাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রত্না আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের।

এ ঘটনায় রত্না আক্তারের বাবা দেলোয়ার সরদার রোববার (৭ আগস্ট) রাতে গৌরনদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ হাসপাতার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামের নির্যাতিতার বাবা দেলোয়ার সরদার জানান, গত তিন বছর পূর্বে নন্দনপট্টি গ্রামের ইয়াকুব আলী সরদারের ইরাক প্রবাসী ছেলে আরিফ সরদারের সাথে রত্না আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তার (রত্না) শশুড় বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবীতে শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তিনি (দেলোয়ার) দুই লক্ষ টাকার অধিক যৌতুক বিভিন্ন আসবারপত্র ক্রয় করে দেন। কিন্তু এতেও মন ভরে নাই যৌতুকলোভী স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজনের।

সম্প্রতি ইরাক থেকে ইতালী যাওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আরিফ সরদার। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে রত্নাকে শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, জা টুলু বেগম ও ভাসুরের ছেলে রাতুল সরদার রত্নার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

হাসপাতাল বেডে শয্যাশায়ী রত্না কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার শাশুড়ী টুলু বেগম ও টুলু বেগমের ছেলে রাতুল মিলে আমার মুখে ওড়না দিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালায়। আমাকে লাকড়ি ও লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে জখম করে।

এবং টুলু বেগমের হতে শাবল দিয়ে আমার পায়ে কোপ দিলে আমি চিৎকার করি। আমার আত্মচিৎকারে বাড়ির পাশের দোকানে থাকা লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমার মাকে খবর দিলে আমার মা এসে হাসাপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু রত্নার বাবা দেলোয়ার সরদার বাদি হয়ে রোববার (৭ আগস্ট) রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।