বরিশাল ল’ কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষকে মারধরসহ ক্লাশ রুম ভাঙচুরের অভিযোগ

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
ছবি : সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয়ে (ল’ কলেজ) হামলা ভাঙচুর এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও কয়েকজন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর হাসপাতাল রোডে ল কলেজ ক্যাম্পাসে এই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামাল খোকন জানান, শীতকালীন বন্ধের পর আজ ল’ কলেজের এলএলবি প্রথম বর্ষের ক্লাশ কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেলে ক্লাশ কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যার পর তিনি অধ্যক্ষের কক্ষে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে বসেন।

এ সময় আরিফ হোসেন অপু নামে একজন ২০ থেকে ২৫ জন সহযোগী নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর লোক পরিচয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এখন থেকে আনোয়ার হোসেনের কথায় কলেজ চলবে না, তাদের (আরিফ হোসেন অপু) কথায় কলেজ চলবে বলে হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে তারা অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনোয়ার হোসনকে চ্যাংদোলা করে কলেজের মাঠে নিয়ে বেদম মারধর করে। তারা তার পড়নের কাপড় খুলে ফেলে। কলেজের ছাত্র ইব্রাহীম সুমন ও এনামুল হক তাদের বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করে তারা। তিনি (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে তারা।

পরে তারা কলেজের ভেতরে ঢুকে ক্লাশ রুম এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন ছাত্রকে মারধরসহ তাণ্ডব চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তাৎক্ষনিক ল’ কলেজ পরিদর্শন করেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিনা কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মো. ফজলুল করিম জানান, ল’ কলেজে যা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেকর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা প্রয়োজন তা করবে পুলিশ।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন