ভোলার কালো ডিম পাড়া হাঁস পর্যবেক্ষণে

News News

Desk

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশনে দেশি একটি পাঁতিহাসের কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

কেউ একে আবার অলৌকিক ঘটনা বলে অ্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বৈজ্ঞানিক উপায়েই এই রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি, কালো ডিমের ঘটনাটি এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর সেই হাঁস ও কালো ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হবে।

তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, ওই হাঁসের মা ভারতীয় কাদারনাথ মাসি জাতের মুরগির সাথে ক্রস প্রজননের কারণে এমন হতে পারে। তবে কালো কোন খাদ্য গ্রহণের কারণেও এমনটি হতে পারে। তবে পরীক্ষা ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না। হাঁসের কালো ডিম পাড়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম।

ভোলার চরফ্যাশনে এমনটি এক পাতিহাঁস দুই দিন ধরে কালো রংয়ের ডিম পাড়ছে। ঘটনা জানাজানি হলে ওই হাঁসের ডিম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।

ডিম দেখতে আসা দর্শনার্থী আকতারুল আলম সামু বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতই হচ্ছে। তবুও স্বচক্ষে একনজর দেখতে এলাম। অস্বাভাবিক কালো এই ডিম বাস্তবে দেখে খুব ভালো লাগছে।

এলাকার বর্ষীয়ান ব্যক্তি মঈন উদ্দিন বলেন, ‘এমন ঘটনা বিরল। কালো হাঁসের ডিম জীবনে প্রথম দেখলাম। কি কারণে এমন ঘটছে তা ল্যাবে পরীক্ষা করে এর রহস্য বের করা উচিত।

হাসের মালিক চরফ্যাশন জিন্নাগড়ের বাসিন্দা আবদুল মতিন জানান, ৮ মাস আগে স্থানীয় ফেরিওয়ালার কাছ থেকে তিনি ১৭ টি হাঁসের বাচ্চা কেনেন। এরপর ৬টি বাচ্চা মারা গেলে অবশিষ্ট ১১ টি হাঁস লালন পালন করেন তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম।

অন্য হাঁসের মতোই একই খাবার গ্রহণ এবং চলাফেরা একসাথে করলেও গত ২১ সেপ্টম্বর বুধবার সকালে দেখেন ওই হাঁসটি কালো ডিম পেড়েছে। একইভাবে বৃহস্পতিবারও আরেকটি ডিম পাড়ে হাঁসটি। তবে শুক্রবার সেই হাস ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন দ্বিতীয় দিনের মত ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন