ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ভোলায় মৃত্যু বেড়ে ৫ News News Desk প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে ভোলার চরফ্যাসন, দৌলতখান, ভোলা সদর উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে ৩ জন, পানিতে ডুবে একজন এবং ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোলায় ঝড়ের আঘাতে দৌলতখান উপজেলায় আয়শা বেগম এবং ভোলা সদর উপজেলায় মফিজুল ইসলাম এই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মৃত দুই জনের দাফনের জন্য তাদের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোলা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন বিধ্বস্ত হওয়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে বিকাল পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, ঝড়ের সময় চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় মনির স্বর্ণকার (৪০) নামে এক ব্যক্তি গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের উপর গাছ পড়ে খাদিজা বেগম নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা এবং ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের পাকার মাথা এলাকায় বসত ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে মফিজুল ইসলাম (৬৫) নিহত হয়েছেন। এসম মফিজুলের ছেলে, ছেলের স্ত্রী এবং নাতি আহত হয়েছে। অপর দিকে ভোর রাতের দিকে জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গেলে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় আয়শা বেগম (২৫) নামের এক নারী পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর এলাকায় ঝড়ে রাস্তার উপর ভেঙ্গে পড়া গাছ কেটে সরাতে গিয়ে নাছির নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঝড়ের আঘাতে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। বিধ্যস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। জেলা কন্ট্রোল রুম সুত্র জানায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৪ হাজার ৪৮২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ, মুজিব কিল্লা ও আশ্রয় কেন্দ্রে ২২ হাজার ৩৫১ টি গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিল। এদিকে বিআইডব্লিউটিএর ভোলা অফিসের ম্যানেজার পারভেজ খান জানিয়েছেন, ঝড়ের আঘাতে ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন বিধ্বস্ত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা কৃষি অফিস জানায় প্রাথমিকভাবে ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান, ১৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলায় প্রায় ৬ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, দুর্গত মানুষের জন্য ৮৪ মেট্রিকটন চাল এবং নগদ ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES জাতীয় বিষয়: