বরিশালে তরমুজের বাম্পার ফলন, ডাকাতির আতঙ্কে চাষিরা

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

মনিরুল ইসলাম মনির :- বরিশালের তরমুজের স্বাদ ও আকারের জন্য খ্যাতি রয়েছে সারা বাংলা জুরে।

প্রতি বছরের মত এবারো বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজের, তবুও কৃষকের মুখে নেই হাসি।

ভোলা, বাউফল, ধুলিয়া এলাকায় চাষ হওয়া তরমুজ নদীপথে বাজারজাতের পাশাপাশি ট্রাকে করে যাচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে।

জানা গেছে, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, বাউফল জেলার তরমুজ দেশ ব্যাপী সুনাম থাকলেও এখন চাষিদের তা চাষে নেই আগ্রহ।

বরিশাল বিভাগ নদীমাতৃক হওয়াতে পণ্য পরিবহনে কিছুটা সুবিধা থাকলেও প্রশাসনের তৎপরতা তেমন না থাকায় ক্ষতির সম্মখীন হচ্ছে কৃষক।

কৃষক বলছে শিলা বৃষ্টি সহ নানান প্রাকৃতিক কারনে তরমুজ চাষে ক্ষতির মধ্যে থাকতে হয় কৃষকদের।

তার উপর নদীপথে লুটপাটের জন্য লাভের আশা বাদ দিয়ে তরমুজ চাষের ব্যয় তুলে আনাই এখন চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

কৃষক কামাল জানান, আমরা তরমুজ চাষ করে পড়েছি বিপদে।

আমাদের মালামাল নদীপথে বরিশাল নিয়ে আসতে হয় অথচ এ নদীপথ এখন অনিরাপদ।

ছিন্তাইকারীদের জন্য এখন শান্তিতে তরমুজ নিয়ে আসতে পারিনা।

কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আমরা বোর্ড এ করে তরমুজ নিয়ে আসতে গেলে আমাদের মাঝ পথে বোর্ড থামিয়ে ডাকাতদল বড় বড় তরমুজ ডাকাতি করে।

আবার জেলেদের একটিগ্রুপ এই একই ভাবে তরমুজ ছিনিয়ে নেয়। আমরা এ জন্য পুঁজি হারানোর শঙ্কায় আছি। আমরা নদী পথে অনিরাপদ।

কোস্টগার্ড সব সময় পাহারায় না থাকায় আমরা প্রশাসনের সহযোগীতা পাই না।

এদিকে পাইকাররা বলছে, চর কাজল, চর বিশ্বাস, দশমনিয়া, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বরিশালে তরমুজ আসে।

এবারের তরমুজ আমদানি মোটামুটি তবে গত বছরের তুলনায় দাম বেশি।

শত তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। দু-এক সপ্তাহ পর আমদানি বাড়বে বলে ধারনা করছেন তারা।

সেই সাথে নদী পথে প্রশাসন তদারকি বারিয়ে কৃষকদের পণ্য ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা করবেন বলে অনুরোধ জানান তারা।