বরিশালে ঈদকে সামনে রেখে নতুন টাকা বেচাকেনার অন্যরকম বাজার

News News

Desk

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৫

মনিরুল ইসলাম : – বরিশাল নগরীর কালেক্টর পুকুর পাড় ও জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন জমে উঠে ছেড়া এবং নতুন টাকা কেনা বেচার বাজার।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুটপাতে ছোট ছোট টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা এসব দোকানে নতুন ও পুরাতন টাকার বেচাকেনা হয় ।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর কালেক্টর পুকুর পাড় ও জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাতে ছোট ছোট টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা এসব নতুন ও পুরাতন টাকার বেচা কেনার দোকান। প্রতিনিয়ত এ দোকান গুলোতে মানুষ আসেন টাকা ভাংতি কিংবা বদল করতে।

দোকানী মো. রাসেল হাওলাদার বলেন, এখনো ব্যাংক নতুন টাকার নোট ছাড়েনি। আর নতুন নোট বেচাকেনাও তেমন বাড়েনি। আপাতত বাজারে পাঁচ, দশ, পঞ্চাশ, একশত টাকার নতুন নোট আছে শুধু।

দোকানী আবঃ জব্বার বলেন, আমাদের আয় হয় নতুন টাকার বিক্রি থেকে। এখন শুনলাম ব্যাংক নতুন টাকা নোট ছাড়বে না। আমাদের সংসার চলে এ দোকানের উপর থেকে। ব্যাংক টাকা ছাড়লে আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে দুটা ডালভাত খেয়ে বাঁচতে পাবো। এখন যেহেতু নতুন বান্ডিল নেই তাই প্রতি বান্ডিলে শতকরা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নতুন নোট কিনতে আসা সাফায়েত হোসেন বলেন, ব্যাংক, দোকান কোথাও নতুন টাকার নোট নেই। ব্যাংক বলছে শেখ মুজিবরের ছবি থাকায় নতুন নোট না ছাপানো পর্যন্ত বাজারে ছাড়বে না। এখন নতুন নোট না পেয়ে পুরাতন নোট নিয়ে বাচ্চাদের মন জয় করবার চেষ্টা করবো।

আরেক ক্রেতা আসিফ হোসেন বলেন, বাচ্চাদের ঈদ খুশির ৫০ ভাগ আনন্দ হচ্ছে নতুন টাকার নোটে। এখন ব্যাংক থেকে খালি হাতে এসে এখানেও আশাহত হয়ে ফিরে যাচ্ছি। জানিনা ছোট ছোট বাচ্চাদের কিভাবে এ শূন্যতা পূরণ করবো। সরকার কিছু নতুন নোট যদি ছাড়তো বাজারে, তাহলেও বাচ্চাদের মুখে হাসি ফিরে আসতো।

প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকগুলোর শাখায় যেসব ফ্রেশ নোট গচ্ছিত রয়েছে তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

এমনকি পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।