
অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরীর বটতলা বাজারে কসাইয়ের দোকানের কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বাজারে থাকা একটি কুকুর জবাই করা হয় বলে অভিযোগ করেন অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সমন্বয়ক তুবা নাহার।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বটতলা বাজারে মাংসবিক্রেতা দোকানের কর্মচারী রায়হান মোল্লা একটি কুকুর জবাই করেন। এ সময় কুকুরটি ছুটে গিয়ে নগরীর বটতলা এলাকার হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি গলিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে সেটাকে স্থানীয়রা চিকিৎসা দিলেও বাঁচানো যায়নি।
ঘটনার পর তারা গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এরআগেই কুকুর জবাই করা রায়হান পালিয়ে গেছেন।
সেচ্ছাসেবকদের ধারণা, কুকুরের মাংস বিক্রির জন্য জবাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের সদস্য ডা. তাবাসসুম জানান, তিনি বাদী হয়ে মামলা করবেন।
ডা. তাবাসসুম জানান, তার পরিবারের সদস্যদের অনুদানে ওই কুকুরসহ নগরীর বেওয়ারিশ আড়াইশ কুকুরকে খাবার দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জবাই দেওয়া কুকুরটি দেখে তাকে জানিয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিক বাজারে গিয়ে জবাই দেওয়া রায়হানকে খুঁজেছেন। কিন্তু তাকে পাননি।
ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের আলেকান্দা পুলিশ ফাড়ির এএসআই সাবু বিন ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তারা রায়হানের বাসায় অভিযান করেছেন। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, বটতলা বাজারের একটি কসাইয়ের দোকানে কর্মচারী রায়হান। তিনি বটতলা এলাকার দিলবাগ গলির বাসিন্দা মিন্টু মোল্লার ছেলে।
এদিকে বটতলা বাজারের মাংসবিক্রেতা সাইদ বলেন, রায়হান বাজারের কোনো দোকানের কর্মচারীরা নয়। মানসিক ভারসাম্যহীন রায়হান বিভিন্ন সময় পশু-পাখি জবাই করেন। ধারাবাহিকতায় বাজারে এসে একটি কুকুর জবাই করেছে। ঠিকমতো জবাই না করায় কুকুরটি নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়ে যায়।
সাইদ বলেন, বাসায় নিয়ে কুকুর মাংস কোথায় দেয় কিনা আমরা জানি না।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাইদ বলেন, রায়হানের সঙ্গে বাজারের কোনো ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
তিনি ঘটনার মূল রহস্য উদ্ধারসহ জড়িত রায়হানের শাস্তি দাবি করেন।
আর বটতলা বাজারের অন্য মাংস ব্যবসায়ীদেরও দাবি রায়হান নামের কাউকে চেনেন না তারা। কী কারণে কুকুর বাজারের মধ্যে জবাই করা হয়েছে সে বিষয়েও জানেন না তারা।
এদিকে অভিযুক্ত রায়হান গা-ঢাকা দিয়েছেন।
অপরদিকে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা। গরু ও খাসির মাংসের দোকানগুলোতে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি তাদের। আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম