বরিশালে দুই মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার, আটক ১

News News

Desk

প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৪
ছবি : সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়

অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে দুই মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরের কঙ্কালের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর নিচে কঙ্কালটি পাওয়া যায়।

বিষয়টি জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল।

সন্ধান পাওয়া কঙ্কালটি নিখোঁজ কিশোর মো. সোহেল ফরাজীর (১৫) বলে জানিয়েছে আটক বন্ধু ইমরান খান। আর সোহেল ফরাজী বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা রিফিউজি কলোনি এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক ফরিদ ফরাজীর ছেলে।

আর আটক ইমরান একই এলাকার বাসিন্দা নান্না খানের ছেলে।

সোহেল ফরাজীর ভাই সোহাগ ফরাজী জানান, তার ভাই ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করত। চালক বিদেশে চলে যাওয়ায় সে বেকার ছিল। দুই মাস আগে তার ভাইকে ডেকে নেয় বন্ধু ইমরান। তখন ভাই সোহেল বাবার ভাড়ায় চালিত ব্যাটারি রিকশাটি নিয়ে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি দুই মাস ধরে বন্ধু ইমরানও নিখোঁজ ছিল।

স্থানীয়দের মাধ্যমে ইমরানের পরিবারের ওপর চাপ দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইমরানের সন্ধান পাওয়া যায়। তখন তার কাছে সোহেলের বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোহেলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তখন বিষয়টি বন্দর থানায় জানানো হয়। বন্দর থানা পুলিশ ইমরানকে নিয়ে খয়রাবাদ সেতুর নিচে গিয়ে একটি কঙ্কাল পেয়েছে।

আটক ইমরান পুলিশকে বলেছে, সোহেলের ব্যাটারিচালিত রিকশা নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে তার তিন বন্ধু হৃদয়, বাপ্পি ও রাকিব। পরিকল্পনা অনুযায়ী নগরের লাকুটিয়া সড়কের একটি দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কেনা হয়। পরে কীর্তনখোলা নদীর ওপর সেতুতে এনাজিং ড্রিংকসে গুঁড়ো করা ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়।

সেখান থেকে চারজন খয়রাবাদ সেতুর নিচে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংকস পান করানো হয় সোহেলকে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে নদীর মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। পরে রিকশা বিক্রি করে ইমরান পালিয়ে যায়।

বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, আটক বন্ধুর দেওয়া তথ্যে কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।