গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : দেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারটির আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলাম ফোরাম’ সংগঠন।

সংগঠনটির সভাপতি ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক রশিদ আসকারী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার পরিচালক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত ২০১২ সালে আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমাদের এটা দেখে সেই একই সময়ে আলবেনিয়াসহ আরও অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশের গণহত্যার বিষয়ে স্বীকৃতি পেতে প্রস্তাব দিয়েছিল। জাতিসংঘ সেখানে কৌশলে একটি দিবসকে (৯ ডিসেম্বর) গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, এবার আমাদের মাঝে সুযোগ এসেছে গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার। আমেরিকার দুই জন সিনেটর ইতোমধ্যে প্রস্তাব এনেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে হবে।

এজন্য গণহত্যা জাদুঘর, গবেষকদের তথ্য দিতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো আমাদের হাতে কোন ‘রেডিমেট তথ্য’ নেই। আমরা কী নিয়ে তথ্য দেবো, আবার তথ্য ভুল হলে আমাদের ইমেজ সংকটে পড়তে হবে। কোনো মন্ত্রণালয় কাজ করেনি, আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান কারো সাথে শত্রুতা না করে সবার সাথে বন্ধুত্ব করতে। বঙ্গবন্ধুরও এই নীতি ছিল। যখন ইস্টার্ন ও সোভিয়েত ব্লক আমাদের চাইছিল বঙ্গবন্ধু কারো পক্ষ না নিয়ে সবার সাথে সুসম্পর্ক করেন।

এটা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। প্রধানমন্ত্রীও তাই করছেন। আমরা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না, যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।

জাতিসংঘ বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের সব সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে। কিন্তু ৫ স্থায়ী সদস্যের কাছেই সবকিছু, এটার পরিবর্তন করা দরকার। প্রতিষ্ঠাকালে তাদের মতো তারা সাজিয়ে রেখেছেন, ১৯৩ রাষ্ট্রের ভোট একটি করে তাই সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার।

জাতিসংঘের নারীর উন্নয়ন, শিশু মৃত্যুর হার কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নয়নের যেমন অবদান আছে তেমনি তাদের ব্যর্থতাও রয়েছে। যুদ্ধ থামাতে সম্পন্ন ব্যর্থতার পরিচয় দেখেছি আমরা।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে কোন আলাপ না করেই স্যাংশন বসানো হলো।

এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন তাদের কিছুই হয় না। যুদ্ধ থামাতে যাই করা হোক তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকরী হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ ৮১ হাজার বাংলাদেশি পিস কিপিং হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘে, এটা একটা ব্র্যান্ডিং। এই পিস কিপিং যেন স্থায়ী হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের যেসব সুবিধাগুলো দেয়, সেগুলো ২০২৯ সাল পর্যন্ত এবং আইটি সেক্টরে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বহুমুখী অর্জনের কারণে জাতিসংঘ আমাদের আলাদা মর্যাদা দেন এবং শেখ হাসিনা ১৮টি জাতিসংঘ সম্পর্কিত অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ১৮টি জেনারেল অ্যাসেম্বলি অ্যাটেন্ড করেছেন। এ সময় তিনি একটি করে ভিশন দিয়ে দেন এবং আমরা সেগুলো সফল করার চেষ্টা করি।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম