মানবিকতা দিয়ে অপরাধ নির্মূলে কাজ করছে র্যাব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আগেই তরুণ-তরুণীদের নতুন জীবনের পথ দেখিয়েছে র্যাব। অতীতে জঙ্গি এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করিয়ে তাদের পুনর্বাসন করিয়ে অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল এই বিশেষায়িত বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের এক হোটেলে আয়োজিত ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সব সাংসদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অপরাধে জড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে এমন ৩৬ জনকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচন করে তাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ ও সেলাই মেশিন তুলে দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তারা কেউ অপরাধী না। তবে জড়ানোর সম্ভাবনা ছিল। তাদের কক্সবাজারের দারিদ্র ও কর্মসংস্থান কম এমন সব এলাকা থেকে বাছাই করা হয়েছে। র্যাবের ডিজি চৌধুরী মামুন বলেন, ‘সারাদেশে যে মামলা হয় তার ৪০ শতাংশ মাদকের মামলা। আমরা প্রতিবছর অনেক মাদক উদ্ধার করি। কিন্তু মাদক কারবারিরা তাদের পাচারের ধরণ পরিবর্তন করে, আমরাও অভিযানের ধরণ পরিবর্তন করি। তিনি বলেন, ‘মাদক প্রতিরোধে আমরা কিছু গঠনমূলক, সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কাজ করেছি। যেসব জলদস্যুরা আত্মসমার্পন করেছে, তাদের আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি, যোগাযোগ রাখছি। যারা যে কাজ করতে চায়, সেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। আইজিপি বেনজীর বলেন, ‘র্যাব আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অপরাধ প্রতিরোধের কাজ করে। র্যাব এটা নিয়মিত করে যাচ্ছে।’ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘এধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে গ্রুমিং হয়েছে, তাদের মধ্যে সহিষ্ণুতা বেড়েছে। অপরাধ কমে আসবে। কক্সবাজারের মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে ইয়াবার ছড়াছড়ি, সবাইকে র্যাব ও পুলিশ হতে হবে। কেবল পুলিশ এটা পারবে না। কক্সবাজারে আগে টোকাইছিল, এখন কিশোর গ্যাং হয়েছে, তারা এখন অপহরণ করে। তাদের ঠেকাতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’ উল্লেখ্য, সেলাই, ড্রাইভিং, সার্ফিং, হাউজ কিপিং, ট্যুরিস্ট গাইড ও ফটোগ্রাফি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। এদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী রয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES জাতীয় বিষয়: