আফগানদের ১২৮ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ News News Desk প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : শুরুতে হতাশ করেছেন ওপেনাররা। তরুণ ওপেনারদের পথ অনুসরণ করলেন সিনিয়ররাও। সমর্থকদের আশা পূরণে ব্যর্থ হন তারাও। পাওয়ার প্লেতে আসেনি প্রত্যাশানুযায়ী রান। আফগান স্পিনে কাবু টাইগাররা ব্যাটাররা হাত খোলারই সুযোগ পাননি তখন। ব্যাটিং ইনিংসের অর্ধাংশেও পড়ে সে ছাপ। স্কোরবোর্ড তিন অংকের ঘরে যেতে পারে কি না তা নিয়েই এক পর্যায়ে দেখা দেয় শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সে শঙ্কার মেঘ আড়াল হয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। টি-টোয়েন্টিতে আরও একবার নতুন শুরুর মিশনের প্রথম দিনেই হতাশ করলেন তরুণরা। লিটন দাসের চোটের কারণে সুযোগ হয়েছিল নাঈম শেখের। ক্যারিবিয়ান সফরে এ দলের জার্সি গায়ে সেঞ্চুরি করেই এশিয়া কাপের দলে ফিরেন তিনি। ফিরেই সুযোগ হয় একাদশে। কিন্তু সুযোগ সদ্ব্যবহার। ৮ বল খেলে ৬ রানেই ফিরে যান তিনি। মুজিব-উর রহমানের স্পিনে কাবু হন তিনি। মুজিবের পরের ওভারেই ফিরে যান আনামুল হক বিজয়। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আসিফ ইয়াকুব অবশ্য আউট দেননি। মুজিব উৎসাহী ছিলেন শুরু থেকেই, তবে নবী রিভিউ নেন একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে। সফলও হয় আফগানিস্তান। বিজয় ১৪ বলে করেন ৫ রান। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর টাইগার ভক্তরা সাকিব ও মুশফিকের পানে চেয়েছিলেন। তাদের হাতে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমন প্রত্যাশায় থাকা সমর্থকদের আশায় গুড়েবালি। মুজিবের তৃতীয় ওভারেই তৃতীয় আঘাত, শিকার হন সাকিব। ৯ বলে ১১ রানের পথে ছিল দুটি চারের মার। এর পরের ওভারেই আসেন রশিদ খান। তার শিকার হয়ে ৪ বলে ১ রান করে ফিরে যান মুশি। প্রতি ওভারেই যখন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মিছিলে ব্যস্ত, ১০ ওভার শেষে রিয়াদ আফিফরা সংগ্রহ করেন ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারেই আফিফকে হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। রিয়াদের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন মোসাদ্দেক। মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে আসে ৩৬ রান। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের স্কোর ৫৩ রান থাকতে। এর আগে কখনোই আফগানিস্তানের বিপক্ষে এত কম রানে ৫ উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। রিয়াদ একপ্রান্তে মন্থর গতিতে খেলে যান, কিন্তু অ্যে প্রান্ত ধুন্ধুমার ব্যাটে রানের চাকা সচল রাখেন মোসাদ্দেক। দলীয় ৮৯ রানে রশিদ খানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিয়াদ। ২৭ বলে সংগ্রহ করেন ২৫ রান। তার ব্যাট থেকে আসে একটি চারের মার। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে একজনের স্ট্রাইক রেট ১২২.২২। বাকি সবার ১০০ এর নিচে। সাতে নামা মোসাদ্দেক খেলেন ৩১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস, ১৫৪.৮৩ স্ট্রাইক রেটে। ফিফটি পাননি, তবে মোসাদ্দেকের ওই ইনিংসে ভর করেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ১২৭ রান। শারজার ধীরগতির নিচু বাউন্সের উইকেটে শুরু থেকেই আফগান ঘূর্ণিতে ভুগেছে বাংলাদেশ। মুজিব ও রশিদের ৮ ওভারে উঠেছে মাত্র ৩৮ রান, বাংলাদেশ হারিয়েছে ৬ উইকেট। ৬টি উইকেটই এসেছে বোল্ড বা এলবিডব্লু থেকে। শেষ ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে পাঠান নবি, ওই ওভারে উঠেছে ৭ রান। ১২৭ বা এর কম রান ডিফেন্ড করে বাংলাদেশ এর আগে জিতেছে মাত্র দুইবার। দুটিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, গত বছর বিশ্বকাপের আগে। যদিও মিরপুরের ওই সিরিজের উইকেট ছিল স্পিন সহায়ক। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES খেলাধুলা বিষয়: