গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, এখন যেন আবার না হয় : মির্জা ফখরুল

News News

Desk

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, এখন যেন আবার ইতিহাস বিকৃত করা না হয়। মেধাবী মানুষগুলোকে সরিয়ে দিতে চায় স্বৈরাচাররা একনায়কতন্ত্রের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। সেটি করেছিল পাকিস্তান ৭১ সালে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, শুধু স্লোগান দিয়ে জেতা যাবে না। জিততে হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিততে হবে। কারণ পতিতরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছর লড়াই করেছি, আর ছেলেরা দুই মাসে কী এমন অলৌকিক শক্তি পেয়েছিল যে স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হলো? এ শক্তি হলো কথা ও সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যক্রম।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে তো আমরা সবাই মিলে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। জনগণ সমর্থন দিচ্ছে। বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাজ একটি পরিবেশ তৈরি করা।

তিনি বলেন, দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। প্রতিটি কথা মেপে বলা দরকার। এমন কথা বলবেন না, যাতে পতিতরা সুযোগ পেয়ে যায়। তারা যেন ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য ঐক্য ও মেধা দিয়ে কাজ করতে হবে।

নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আপনার মনে করেছেন হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেষ। না, আমাদের সামনে আরও বেশি কাজ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত কাজ করতে হবে, আমাদের কাজ দীর্ঘসময়ের।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে মেসেজ দিয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকারের জন্য খারাপ হবে, জনগণের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে নির্বাচনকে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তবে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মাহমুদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।