বরিশালে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

News News

Desk

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩
ছবি : শহিদুল ইসলাম সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়াবহ লোডশেডিং ও দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো বন্ধ করা সহ বিদ্যুৎখাতে দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১০টায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা কমিটির সদস্য সাকিবুল ইসলাম শাফিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা কমিটির সমন্বয়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ- নির্বাহী সমন্বয়কারী জামান কবির, সদস্য জাবের মোহাম্মদ, হাছিব আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির ফলে সারাদেশ আজ ভয়াবহ লোডশেডিং এর সম্মুখীন হচ্ছে। এ খাতে সরকারের ভুল পলিসির জন্য দেশে আজ জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। সরকার তার দল ও বিশেষ গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার করতে ২০১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে কোন দরপত্র করেনি৷

ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের সর্বত্র লুটের মাফিয়া গড়ে উঠেছে৷ আর এসকল লুটপাটের অর্থের যোগান দিতে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগনের পকেট কাঁটছে সরকার। সরকার তার গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধারে দায়মুক্তি আইন করে সকলকে জবাবদিহিতার বাইরে রেখে সমস্ত লুটপাটকে বৈধতা দিয়েছে। তাই অবিলম্বে এই দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারে সকল খাদ্য শস্যর দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে দাম কমেনি। সরকার জনগণের জন্য মৌলিক চাহিদা খাদ্য সহজলভ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ ক্রমাগত মূল্যস্ফিতি জনজীবনে দুর্বিসহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

সরকার মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ না করে সিন্ডিকেটের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের কার্যকরি কোন উদ্যোগ নেই। জনসম্মতিহীন সরকার তার মসনদ রক্ষায় ব্যাস্ত থেকে জনস্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, ‘সংকট শুধু বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের অর্থনীতিতেও রয়েছে। তাই আমাদের সামগ্রিক সংকট উত্তরনে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে।

সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যুত ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে চুরি ও লুটপাটের দায় নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।