এবার কাঁকড়ার খোলস থেকে ব্যাটারি

News News

Desk

প্রকাশিত: ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : কাঁকড়া, লবস্টার কিংবা চিংড়ির খোলস থেকে পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই জীবগুলোর দেহে বর্ম হিসেবে কাজ করা খোলসে আছে ‘চিটিন’ নামের একটি রাসায়নিক উপাদান।

এই উপাদান দিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং অ্যাসিটিক এসিডের মাধ্যমে একটি জেল বা ঝিল্লি তৈরি করা যায়। রূপান্তরিত ঝিল্লি দিয়ে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট বা তড়িৎবিশ্লেষ্য তৈরি সম্ভব বলে জানান গবেষকরা।

সাধারণত ব্যাটারিতে তরল, আঠালো জেল বা ঝিল্লি ইলেকট্রোলাইটের কাজ করে, যা আয়ন চার্জযুক্ত কণাকে ব্যাটারির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছাতে সাহ্য্যা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা কাঁকড়া এবং চিংড়ি জাতীয় জীবের খোলস থেকে এই ঝিল্লি উদ্ভাবন করেছেন। এসব জীবের খোলসে থাকা চিটিন এবং জিঙ্কের সমন্বয়ে নবায়নযোগ্য ব্যাটারি তৈরি করেছেন তারা। পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই ব্যাটারি ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ শক্তিসাশ্রয়ী।

শুধু তাই নয়, সনাতনী লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি পরিত্যক্ত হলে প্রকৃতিতে থেকে যায় কয়েকশ বছর। অথচ কাঁকড়া-চিংড়ির খোলসের চিটিন ব্যাটারি মাত্র পাঁচ মাসে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। পরিবেশের জন্য তো বটেই, এই ব্যাটারিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও নেই। কারণ চিটিন দাহ্য উপাদান নয়।

এ ধরনের ব্যাটারি সস্তাও, চিটিনের উৎস বা কাঁচামালেরও অভাব নেই। প্রতিদিন শত শত রেস্তোরাঁ থেকেই টনকে টন খোলস ফেলে দেওয়া হয়। এই ফেলে দেওয়া উপাদান পুনর্ব্যবহার করার সুযোগ কাজে লাগাতে চান বিজ্ঞানীরা।

মেরিল্যান্ড সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ইনোভেশনের গবেষক ল্যাংবিং হু বলেন, ‘আমরা ব্যাটারির উপাদানের পচনশীলতা এবং পরিবেশের ওপর প্রভাব নিয়ে চিন্তা করেছি। এর কার্যকারিতা পরখ করে দেখেছি এটির বাণিজ্যিক উপযোগিতাও রয়েছে।

পুরো বিশ্ব এখন পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তি বা গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকছে। প্রকৃতির খোলসওয়ালা জীবদেহের উপাদান দিয়ে ব্যাটারি উদ্ভাবন এই নবযাত্রার নতুন সংযুক্তি।

সূত্র : দেশ রূপান্তর