স্থানীয়দের বিক্ষোভ, দ্রুত কাজ সম্পন্নের নির্দেশ বরিশালের অসমাপ্ত নেহালগঞ্জ সেতু নির্মাণকাজ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব

News News

Desk

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল-বাউফল-পটুয়াখালী মহাসড়কের অসমাপ্ত নেহালগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজ পরিদর্শনে এসে সড়ক ও জনপথ এবং ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পালিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নির্মাণাধীন নেহালগঞ্জ সেতু পরিদর্শনে আসেন।

এসময় সেতুর দুই পারের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে ফেলে রাখায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। স্থানীয়দের দাবী বরিশাল বাউফল সড়কের নেহালগঞ্জ সেতু ও বাকেরগঞ্জের রাঙামাটি নদীর উপর গোমা সেতু দ্রুততম সময়ে নির্মাণ না হলে বরিশাল সদর উপজেলা ও বাকেরগঞ্জের সাথে বাউফল পটুয়াখালী জেলার যোগাযোগ বিঘিœত হচ্ছে।

এর ফলে পদ্মা সেতু নির্মিত হলেও বরিশালের সাথে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার আঞ্চলিক যোগাযোগের কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। নেহালগঞ্জ ও গোমা সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে থেমে যাওয়ায় এসব এলাকার লাখ লাখ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানান।

এসময় সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, নেহালগঞ্জ সেতুটি ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্নের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের উদাসীনতায় কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।

সম্প্রতি বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষন কমিটির নেতৃবৃন্দ নেহালগঞ্জ, গোমা সেতু সহ বিভিন্ন উন্নয়ণ মূলক কাজ সময় মত শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতনদের স্মারকলিপি, বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচী করে আসছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করায় বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পালিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন।

তিনি বলেন, নেহালগঞ্জ সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে সব থেকে বেশি উপকৃত হবে বরিশাল জেলার সদর উপজেলার বাড়ৈজ্জার পুল, দিনারের পুল, টুমচর, চরকাউয়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, চন্দ্রমোহনবাসী।

এছাড়াও জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা এলাকার বাসিন্দারা। অপরদিকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকার লাখ লাখ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও এর সুফল ভোগ করবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সম্পন্ন করে হস্তান্তরের দাবী জানানো হয়েছে।

সেতু পরিদর্শন শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসন সহ অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেতু চালুর উদ্যোগ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পালিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এসময় সংশ্লিষ্টরা সেখানে উপস্থিত হয়ে জানান, সেতুর এপ্রোচ সড়কের জমি অধিগ্রহনের টাকা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ করে সেতুর অসমাপ্ত কাজ ও এপ্রোচ সড়কের কাজ সম্পন্নন করা হবে।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষন কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান খোকন,

শারমিন বিনতে সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, ১০নং চন্দমোহান ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজ মাস্টার, স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক এম ইসরাইল পন্ডিত, শিক্ষানুরাগী সৈয়দ কামরুন্নাহার বেগম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দাবী সংবলিত প্লাকার্ড হাতে স্থানীয় কয়েকশ মানুষ সেখানে অবস্থান করে।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।