সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিথ্যা বলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট সুনির্দিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়নি বলে যে বক্তব্য সুইস রাষ্ট্রদূত নাটালি চুয়ার্ড দিয়েছেন তা ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থসচিব বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) আমাকে বলেছেন সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তাতে সাড়া দেননি।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে। মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া ঠিক নয়।

বুধবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের বিষয়ে সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড।

তিনি বলেছিলেন, সুইস ব্যাংকে রাখা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তিদের অর্থের পরিমাণ সম্প্রতি কমেছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকের যে সব ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড সরকার।

সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালোটাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই।

তিনি আরো বলেন, সুইস সরকার কোনও অবৈধ অর্থকে উৎসাহিত করে না। সুইস ব্যাংক বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আমাদের জিডিপির অন্যতম একটি অংশ।

অর্থাৎ আমাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুইস ব্যাংক প্রতি বছর বাংলাদেশি টাকার তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় ব্যক্তিগত টাকা সংরক্ষণ হার বাড়ছে না, বরং কমছে।

তবে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৮৭১ দশমিক ১১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ হয়েছে।

সূত্র : দেশ রূপান্তর