বরিশালের ঝালকাঠিতে যুবলীগের আনন্দ মিছিলে হামলা, আহত ১০

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
ছবি : শাইখ শুভ

অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠিতে জেলা যুবলীগের পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে করা প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঝালকাঠি পৌর শহরের পোস্ট অফিস সড়কে একপক্ষের সংসদ নির্বাচনী তপশিলের আনন্দ মিছিলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছ। এদের মধ্যে পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।

আহতরা হলেন, ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. সাগর, নয়ন দাস, সদর উপজেলার ধানসিড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি হারুন হাওলাদার ও রবিউল ইসলাম।

সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহসভাপতি হারুন হাওলাদার জানান, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের সঙ্গে পদ নিয়ে একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ওরফে জিএস জাকির ও কামাল শরীফের দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে ঝালকাঠি পৌর শহরে মহড়া ও আনন্দ করছিলেন। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের পশ্চিম পাশে এসে পৌঁছালে জিএস জাকির ও কামাল শরীফের নেতৃত্বে পিস্তল, অস্ত্র ধারালো, জিআই পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করা হয়।

হামলাকারীরা গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদের অন্তত ১০ জনকে আহত করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনিসহ (হারুন) যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অপু, সাগর, নয়ন ও রবিউল।

আহত সাগর কালবেলাকে বলেন, সৈয়দ মিলনকে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মানে না জিএস জাকির ও কামাল শরীফরা। এ ছাড়াও তারা বিএনপির লোকজন নিয়ে রাজনীতি করে।

এ নিয়ে জিএস জাকির ও কালাম শরীফের সঙ্গে সৈয়দ জাকিরের বিরোধ রয়েছে। এর জেরে তাদের বহরে হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা গুলি করাসহ বেধড়কভাবে পিটিয়েছে ও কুপিয়েছে। বহরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং সৈয়দ মিলনের রানে গুলি লেগেছে।

সৈয়দ মিলনের স্ত্রী মারিয়া ইসলাম বলেন, তার স্বামীসহ নেকার্মীরা সরকারের পক্ষে আনন্দ মিছিল করছেন। হামলাকারী প্রকাশ্যে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করাসহ পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। তিনি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ বলেন, আহতদের কারও শরীরে গুলির লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

তবে পেটানো ও ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, হরতাল-অবরোধের বিপক্ষে ঝালকাঠি পৌর শহরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিছিলের পাশাপাশি মহড়া দেয়।

ঝালকাঠির গোরস্তান এলাকা থেকে এসে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল পেছনে প্রবেশ করে। এ সময় কৃষ্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা জলিলের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়। মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিস এলাকায় জলিলের স্বজনরা হামলা করেছে। খবর পেয়ে আমি যাওয়ার পূর্বে প্রশাসন গিয়েছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসিরউদ্দিন সরকার বলেন, ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের মধ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এর জের ধরে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক হয়। একপক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা করেছে।

এতে কয়েকজন আহত হয়ে বরিশালে গেছে। তারা অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।