
অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় তিনজন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৪) ডি-ব্লকের ব্যবস্থাপনা কমিটির হেড মাঝি (প্রধান নেতা) মো. হোসেন আলী (৫৫), একই শিবিরে এফ-ব্লকের রোহিঙ্গা রশিদ আলম (৪০) ও নূর হোসেন (৪২)।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হেড মাঝি মো. হোসেন আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তিনি হাতে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মো.নাইমুল হক বলেন, রাতে এক বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে হেড মাঝি হোসেন আলীসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় কথিত আরসা সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালান। গুলিতে হোসেন আলীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নাইমুল হক বলেন, আশ্রয়শিবিরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলির ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চলছে।
এপিবিএন সূত্র জানায়, হোসেন আলীও এক সময় আরসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আরসা ছেড়ে বর্তমানে তিনি একটি ক্যাম্পে হেড মাঝির দায়িত্ব পালন করছেন।
হোসেন আলীর ছেলে নবী হোসেন (৩২) বলেন, আশ্রয়শিবিরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ১০ থেকে ১২ জন আরসা সদস্য তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।
ক্যাম্পে আরসার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে তার বাবা হোসেন আলী হোসেন কাজ করছেন, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আরসা সদস্যরা তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে গুলি চালিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
১৬ জুলাই রাতে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৪) অভিযান চালিয়ে আরসার ‘গান কমান্ডার’ সৈয়দুল আমিনকে (২৬) গ্রেফতার করে এপিবিএন সদস্যরা। তিনি উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৭) জি ব্লকের রোহিঙ্গা আমির হোসেনের ছেলে।
একই দিন রাতে পুলিশ উখিয়ার বালুখালী (ক্যাম্প-৮) আশ্রয়শিবির থেকে আরসার আরেক শীর্ষ নেতা আবু বক্কর ওরফে জমির হোসেন ওরফে হাফেজ মনিরকে (৩৭) গ্রেফতার করে ৮ এপিবিএন। আবু বক্কর ওই আশ্রয়শিবিরের বি-৪৬ ব্লকের রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের ছেলে। এ সময় একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম