তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের দাবি বরিশাল বিএমএ’র

News News

Desk

প্রকাশিত: ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক :- গতকাল ২৬ ডিসেম্বর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বরিশাল ইউনিট এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আয়োজিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে আরও শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই।

প্রতিদিন তামাকজনিত রোগে প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে, তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশেন (বিএমএ) বরিশাল ইউনিট।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।

তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ বরিশাল জেলার সভাপতি ডা. ইসতিয়াক হোসেন। তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ জানে তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

তারপরও মানুষ এটা ব্যবহার করছে। তাই সাধারণ মানুষদের সচেতন করার পাশাপাশি দেশে তামাকের আমদানি ও উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বর্তমান আইনটি সংশোধনের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএ বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন। তিনি বলেন, তামাক হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নই। এটি ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হবে।

এজন্যই প্রধানমন্ত্রী হাতে সময় রেখে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার টার্গেট ঘোষণা করেছেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তারেক মেহেদী (পারভেজ) বলেন, সাধারণ বিএমএ চিকিৎসকদের কাজ করলেও জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আর বিএমএ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিকল্প নেই।

তাই বিএমএ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করে যাবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিচার্স ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলোজি এন্ড রিসার্চের বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। সভাটি সঞ্চালনা করেন বিএমএ বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন

বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এসএম সারওয়ার,

মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাসুম আহমেদ, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ জে এম এমরুল কায়েস, ডেপুটি সিভিল সার্জন (বরিশাল) ডা. সব্যসাচী দাস।