
অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা দালালের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে দালাল চক্রের হোতা নাসির ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় না আনা হলে আগামী ২১ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে সকল প্রকার অ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও লাশ পরিবহন বন্ধ রাখার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আল্টিমেটাম দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপদেষ্টা সদস্য জাকির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একমাত্র রোগী পরিবহনের জন্য একমাত্র বৈধ সংগঠন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। এই সংগঠনে বর্তমানে ১২০ জন সদস্য রয়েছে। আর অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ১৬০। এর মধ্যে প্রথম সারির অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫টি।
দীর্ঘদিন যাবত এই ব্যবসায় নাসির খান ও তার বাবা মোসলেম খানসহ ১০ থেকে ১২ জন দালাল চক্র যাদের কোনো অ্যাম্বুলেন্স নাই, তারা অ্যাম্বুলেন্স মালিক, চালক ও হেলপারদের জিম্মি করে রেখেছে।
এই দালাল চক্র আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশিমত কৌশল পরিরর্তন করে রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই দালালচক্র দীর্ঘদিন যাবত মাদকসেবনকারী মাদক কারবারি মাদক পরিবহনের রুট হিসেবে তাদের গাড়িগুলো ব্যবহার করছে। এর মধ্যে একটি গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিকে যাওয়ার সময় রোগীর স্বজন ও চালক এর সহযোগিতায় গাড়ির মধ্যে একজন রোগী খুন হয়। যার কারণে গাড়িটি কুষ্টিয়ায় আটক করা হয়। পরে তারা কৌশলে গাড়িটি ছাড়িয়ে আনে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যেখানে বরিশাল থেকে ঢাকায় রোগী পরিবহনের জন্য মালিক সমিতি ভাড়া ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে।
কিন্তু দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে সেই ভাড়া ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দালাল চক্র ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা ভাড়ায় ঢাকার গাড়িতে রোগী তুলে দিচ্ছে।
যে ভাড়ায় রোগীর সঙ্গে চুক্তি হয়, তার ৪০ শতাংশ গাড়ি ভাড়া হিসেবে পায়, আর ৬০ শতাংশ দালালচক্র নিয়ে যায়।
এর ফলে রোগী পরিবহনে যে মালিকরা গাড়ি ক্রয় করেছে তারা দিনের পর দিন গাড়ি নিয়ে বসে থাকে, ভাড়া হয় না।
এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা বন্ধের আশঙ্কা করছেন তারা। এতে করে সরকারও তার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মলনে এই দালল চক্রের মূলহোতা ও সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. ফিরোজ আলম, সহ সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল, সদস্য হুমায়ুন কবীর, মাইনুল ইসলাম খান।
সূত্র : ঢাকা মেইল