
অনলাইন ডেস্ক : ট্রাফিক পুলিশবক্সে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত মিরপুর বিভাগের ডিবি, পল্লবী ও মিরপুর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, তারা প্রাথমিকভাবে জেনেছেন এ হামলার পেছনে শুধু রিকশা চালক নয়, মালিকও জড়িত আছেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা চালান চালকরা। তারা পুলিশ বক্স ভাংচুর করে এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে। উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদের পাশাপাশি রিকশা চালকদের আটক এবং তাদের মারধরের অভিযোগও এ হামলার পেছনে কাজ করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহাদ আলী জানান, ওই হামলায় জড়িত অভিযোগে তারা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। পল্লবীসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হচ্ছেন- গোলাম ছামদানি, মন্জু হাওলাদার, পাপ্পু, আমির, শামীম, লিটন, সানি ও গোলাম হোসেন।
মিরপুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তাদের থানায় দায়ের করা মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনকে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
অপরদিকে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হচ্ছেন- জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ মিয়া, আক্তার হোসেন, শমসের উদ্দিন, মোহাম্মদ রনি, মোহাম্মদ কালিম, মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ সাম হোসেন।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন জানান, পুলিশের উপর হামলাকারীদের তারা কোনো ছাড় দিতে নারাজ।
“হামলা চালিয়ে পুলিশকে মানসিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। হামলার পেছনে আরও কারা আছে সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে”, বলেন তিনি।
এ ঘটনায় মিরপুর ও পল্লবী থানায় দুটি পৃথক মামলায় অজ্ঞাত দেড় শতাধিক আসামি করা হয়েছে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর