উপাচার্যকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন প্রচেষ্টায় ববি অফিসার্স এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৪

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে গত ৪ঠা মার্চ নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। তাকে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

কিন্তু এই ফুলেল শুভেচ্ছার একটি আলোকচিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা করা হয় বলে দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের। আর এমন প্রচারণার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) ববির অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ০৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর মতো দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে।

উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সাধারণত নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির একটি রেওয়াজ।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল অংশীজন কর্তৃক প্রাপ্ত ফুলেল শুভেচ্ছার সাথে উপাচার্যের একটি আলোকচিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু সংবাদপত্রে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা অফিসার্স এসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

প্রতিবাদলিপিতে আরও জানানো হয়, উপাচার্য ফুলেল শুভেচ্ছা প্রাপ্তির প্রেক্ষাপট হিসেবে কিছু বিষয়ের অবতারণা একান্ত জরুরি বলে অফিসার্স এসোসিয়েশন মনে করে। নবনিযুক্ত উপাচার্য গত ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে ০৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে তৎকালীন উপাচার্যের মেয়াদ সমাপনান্তে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। রুটিন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

সেশনজট কমানো, একাডেমিক ভবন ও হল নির্মাণে প্রচেষ্টা, সৌন্দর্য বর্ধন এবং বিশ্ববিদ্যালয় আলোকিতকরণসহ ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছেন।বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের মাঝে ইতোমধ্যে তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।

এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ থাকা অবস্থাতেই তাঁর সততা, দক্ষতা, কর্মস্পৃহা ও গতিশীলতার মাধ্যমে তিনি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পূর্ণ মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজন কর্তৃক তিনি সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন।

যথার্থভাবে এটা তাঁর কর্মেরই স্বীকৃতি। ফুলসহ উপাচার্যের আলোকচিত্র নিয়ে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন তারা প্রকারান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন এহেন প্রয়াসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসাথে বিষয়টি যথার্থভাবে অনুধাবনের আহ্বান জানাচ্ছে।