অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস ডেন্টপ্রেসি কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। রোববার (৩ মার্চ) এমনটা জানিয়ে কমলা হ্যারিস বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষ ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পাঁচ মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কোনো নেতার পক্ষ থেকে এ ধরনের শক্ত মন্তব্য আসলো।

কমলা হ্যারিস ইসরায়েলকে গাজায় আরও অধিক মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। কারণ, সেখানে কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে।

গতকাল হামাসের প্রতিনিধি দল গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মিসরের কায়রো পৌঁছায়। কিন্তু এ আলোচনায় অগ্রগতি কতটুকু সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তবে ইসরায়েলের পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথের অনলাইন ভার্সনে বলা হয়েছে, বেঁচে থাকা জিম্মিদের পুরো নাম তালিকাবদ্ধ করতে হামাস অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরায়েল তাদের সঙ্গে আলোচনা বাতিল করেছে।

ওয়াশিংটন বলছে, রমজানের আগেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। কারণ, এ সম্পর্কে ইসরায়েল একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, হ্যারিস তার বক্তব্যে গত সপ্তাহে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলের হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, গাজার উত্তরে কোনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে অনেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার পাঁচ মাস পর শনিবার বিমান থেকে খাদ্য ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওইদিন ৩৮ হাজার প্যাকেটজাত খাবার বিমান থেকে ফেলা হয়।

গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫৩ জনকে।

এ ঘটনার পরই গাজায় জল, স্থল ও আকাশ থেকে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।