মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও একজনের মৃত্যু News News Desk প্রকাশিত: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৪ অনলাইন ডেস্ক : এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও একজন মারা গেছেন। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আফ্রিকার এই দেশটিতে প্রথম মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় আরেক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এছাড়া দেশটিতে চলতি বছর আরও কয়েকজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমপক্সে আক্রান্ত দ্বিতীয় এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। এর আগে গত বুধবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, ৩৭ এবং ৩৮ বছর বয়সী এই দুই ব্যক্তির পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং ভাইরাসের কারণে মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে। জো ফাহলা বলছেন, এই বছর দেশে ছয়জন এমপক্সে সংক্রমিত হয়েছেন, যার মধ্যে গাউতেংয়ের দুজন ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া অন্য চারজন কোয়াজুলু-নাটালের বাসিন্দা। ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর তাদের অবস্থাই ছিল গুরুতর এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, সংক্রমিত সকলেই ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষ। তারা প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হওয়া অন্য কোনও দেশে যাননি। ফলে এই রোগটি স্থানীয়ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং ২০২২ সালের প্রথমার্ধে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর একই বছরের বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। কিন্তু তারপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর প্রায় এক বছরের মাথায় এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। ফাহলা বুধবার বলেন, একজনের মৃত্যুর ঘটনাও অনেক বেশি, বিশেষ করে এই ধরনের প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে। ২০২২ সাল থেকে ১০০ টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান। রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, এই ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গুটিবসন্তের সম্পর্ক আছে। তবে সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকান ভাইরাসের প্রজাতিটি মৃদু ধরনের; যা যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: