ডেঙ্গু : চট্টগ্রামে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা News News Desk প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ড্রোন দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মশার বাসস্থান খুঁজেও কমছে না তার গতি। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অভিভাবকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সচেতনতা। সচেতন থাকলেই ডেঙ্গু থেকে বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫২ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এতে করে চট্টগ্রাম জেলায় এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৫ জন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৮ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৭৩ জন। সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। করোনা মহামারীর সময়ে যেভাবে আমরা সচেতন হয়েছিলাম, এখনও সেভাবে সচেতন হতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা প্রচারপত্র বিলি করার জন্য লিফলেট আনা হয়েছে। আমরা সরকারি সংস্থার একার পক্ষে কখনো সম্ভব নয়, যদি জনগণ সচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাব কমে আসবে। গ্রামের চেয়ে শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলেও জানান তিনি। সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে জুলাই মাসে ৭০০ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন চার জন। জুনে আক্রান্ত ২৮২, মৃত্যু ৬। মে মাসে আক্রান্ত ৫৩, এপ্রিলে ১৮, মার্চে ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও জানুয়ারিতে ৭৭ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন তিন জন। এদিকে বুধবার নগরীর অভিযাত এলাকা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ খুলশী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। অভিযানে ১২টি ভবনে মশার লার্ভা পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবন মালিকদের ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বলেন, যেসব মশার লার্ভা পেয়েছি বেশিরভাগই ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিসের লার্ভা। অন্যন্য মশার লার্ভা পেয়েছি। তবে সেটা অনেক কম। খুলশীর মতো ভিআইপি আবাসিক এলাকায়ও অসচেতনতার কারণে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন হচ্ছে। স্বচ্ছ পানিতেই এখন বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ইংলিশ মিডিয়াম একটি স্কুলের পাশে ফেলে রাখা পানির ট্যাংকে হাজার হাজার মশার লার্ভা পেয়েছি। আবার অনেক বাড়িতে শত শত গাছের টব থাকলেও সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। এটাও পজিটিভ দিক। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES জাতীয় বিষয়: