বরিশাল নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী’র উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত News News Desk প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩ ছবি : শহিদুল ইসলাম সুজন অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে বিগত দিনে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বরিশাল সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, আপনারা যদি রাগ হয়ে ঘরে বসে থাকেন তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশ্যই মাঠে থাকবেন। এর আগে আপনারা ভোটদান করা থেকে বিরত থাকলে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলে সেসময় কি অবস্থা হবে সে চিন্তা করবেন আর ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালটে জবাব দিন। গাজীপুরবাসী ভুল করেনি আপনারাও ভুল করবেন না। সোমবার (৫ জুন) বিকেলে বরিশাল নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। পরে তিনি চৌমাথা এলাকায় গণসংযোগ করেন। প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, বরিশালের রাজনীতিতে চাচা ইন, ভাতিজা আউট। যখনই আওয়ামী লীগ সরকার চাচাকে মনোনয়ন দিয়ে বরিশাল পাঠিয়েছেন তখনি ভাতিজার রাজনীতি শেষ। তিনি (ভাতিজা) মনোনয়ন না পেয়ে আর বরিশাল ফেরেননি। দু’মাস মাস ধরে মেয়র ছাড়া চলছে বরিশালের সিটি করপোরেশন কার্যক্রম। তিনি বলেন, ভাতিজার দখলীকৃত স্থানে চাচার সমর্থকদের দখলে চলে গেছে, অথচ এখনো চাচা বরিশালের মেয়র হননি। তাহলে আগামী দিনগুলোর কথা চিন্তা করেন। পারিবারিক তন্ত্র বা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ সরকার বরিশালে কাজ করছেন। তবে এবার ভোটের মাধ্যমে জবাব দিবে বরিশালের জনগণ। গত পাঁচ বছরের কার্যক্রম বিবেচনা করে প্রার্থী বেছে নিবে বরিশালের জনগণ। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা ভোট দিতে পারলে নৌকা আর জেগে উঠবে না। এ সময় তিনি বরিশালবাসীকে জেগে উঠার আহ্বান জানান। বরিশাল সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, বরিশালে কোনো উন্নয়ন নেই, কারণ কোনো টাকা বরাদ্দ হয়নি। কিন্তু তিনি বলেছিলেন আমি আমার ফুফুর থেকে বরাদ্দ আনবো। এরপর তিনি ভোটে দাঁড়ালেন, ভোট চুরি করলেন, নির্লজ্জ ভোট ডাকাতি করলেন এবং মেয়র হলেন। কিন্তু তিনি মেয়র থাকার পরও কোনো বরাদ্দ আসেনি এবং উন্নয়নও করতে পারেননি। এদিকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী বরিশাল সিটির ভোটার না হয়েও বরিশালে নির্বাচন করতে নির্বাচনের তিন মাস আগে নিজ মুরিদ এর বাসার ঠিকানা দিয়ে বরিশাল সিটিতে ভোট নিয়ে আসেন। এত দিন বরিশালের বাহিরে রাজত্ব করেছেন এখন বরিশালে আসছেন রাজত্ব করতে। উনার প্রতি অনুরোধ আগে বরিশালে স্থায়ীভাবে থাকেন, মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে মানুষের জন্য নিবেদিত করুণ। তারপর বরিশালের মানুষের জন্য উন্নয়ন করার কথা বলুন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, রফিকুল ইসলাম গফুর, এস এম রহমান পারভেজ, অ্যাডভোকেট এম এ জলিল, নজরুল ইসলাম হেমায়েত, অধ্যাপক গিয়াস ও অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: