এ বছর ঈদ বাজার গারারা-নায়রার হাতে, তবু দোকানিদের মুখে নেই হাসি!

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৩
ছবি : সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়

মনিরুল ইসলাম, বরিশাল : কিছুদিন পরই পবিত্র ঈদ, আর এ ঈদে ছোট বড় সকলের রয়েছে নতুন পোশাকের চাহিদা। প্রতি বছর বিভিন্ন ইন্ডিয়ান সিরিয়াল বা ইন্ডিয়ান মুভি কে অনুসরন করে কিরনমালা, বাহুবলি, রাখি বন্ধন, পাখি , আনারকলি, বস সহ বাহারি নামে দখল রেখে ছিলো পোশাক বাজার।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো রয়েছে বিভিন্ন মানের এবং দামের শিশু ও নারীদের আকর্ষণীয় পোশাকের চাহিদা রয়েছে পোশাক বাজারে। তবে এ বছর ঈদ বাজার দখলে নিলো ইন্ডিয়ান নায়রা, সারারা, গারারা নামের বাহারি রং এর বাহারি ডিজাইনের পোশাক।

বরিশাল নগরির বিভিন্ন অভিজাত শপিংমল সহ বিভিন্ন ব্রান্ডের দোকান ঘুরে দেখাগেছে এমন চিত্র। নতুন বছর উপলক্ষে শিশু-নারী সকলের জন্য রয়েছে নানা নামের , নানা ধরনের বাহারি পোশাক।

এদিকে হাসি নেই দোকানিদের মুখে!
নগরীর হাজী মোঃ মহসিন মার্কেট এর পোশাক ব্যবসায়ী মোঃ জহির জানান আজ ১২এ রমজান তেমন কোনো ক্রেতাদের ভির নেই দোকান গুলোতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আশানুরূপ বেচাকেনা নেই বললেই চলে। আবার পূর্বের থেকে পোশাকের প্রতি পিসে ১০০—১২০ টাকা বারতি হওয়ারে লাভের কথা মাথায় নিতে পারছেনা দোকানিরা।

এমনকি গতবছর যে পোশাক বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় সেই পোশাক এ বছর কিনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং বিক্রি করতে হচ্ছ ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। তাই বর্তমান বাজার অনুযায়ী পোশাকের চাহিদা থাকলেও মূল্যর দিকে তাকিয়ে ক্রেতার উপস্থিতি তেমন নেই ।

টপটেন ব্রান্ড শপিংমল বরিশাল শাখার র্কমচারি মোঃ আবির খান জানান প্রথম রমজান থেকে কিছুটা ক্রেতার চাপ থাকলেও গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে তেমন কোন ক্রেতার দেখা নেই। তবুও আমাদের শিশু, নারী-পুরুষের ঈদ কালেকশনে র্পযাপ্ত আইটেম রযেছে। তাই আশা করছি পনেরো অথবা বিশ রোজা থেকে ক্রেতাদের ভির বৃদ্ধি পাবে।

ফুটপাত বিক্রেতা মোঃ জাহাজ্ঞীর হোসেন জানান , গতবছর এমন সময় ভালো বিক্রি ছিলো কিন্তু মানুষের কাঁচা বাজারে সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে মানুষ খাবে না দেহে পোশাক পড়বে ? তবুও যেহেতু গরিবের ঈদ আছে তাই আর কিছুদিনের মধ্যে আমাদের ক্রেতার দেখা পাবো এমনটাই আমাদের আশা।

নগরীর সিটি মার্কেটে ক্রেতা শিবলু হাওলাদার জানান গতবছর নিজের জন্য পুরো ঈদ বাজার করেছি দুই হাজার টাকায়। কিন্তু এ বছর শুধু পাঞ্জাবি কিনেছি পনেরো-শো টাকায়। বাকি প্যান্ট-শার্ট আর এখন কেনা হবে না। দিন দিন পন্য মূল্য বিদ্ধির জন্য এবার আর ঈদ আনন্দের মধ্যে কাটাতে পারবো না!