শত শত মন সামুদ্রিক ইলিশে সয়লাব দক্ষিনের মোকাম

News News

Desk

প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শত শত মন ইলিশ ধরা পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। সামুদ্রিক ইলিশে সয়লাব বরিশালের পোর্ট রোড সহ বরগুনার পাথরঘাটা, পটুয়াখালীর মহিপুর আর ভোলার চরফ্যাশন মোকামে।

গত ২ দিনে ২ হাজার মনের বেশী ইলিশ এসেছে শুধু বরিশাল মোকামে। তবে স্থানীয় নদীর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম। সাগরের ইলিশ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হলেও নদীর ইলিশের দাম চড়া। এতে নাখোশ ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের দাবী- আগামী দিনে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে নদী আর সাগরে। তখন আরও কমবে ইলিশের দাম। এদিকে এবার সাগরে বড় সাইজের ইলিশ আহরিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

গত ২৩ জুলাই মধ্য রাতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ২৪ ঘন্টা পাড় না হতেই শত শত মন সাগরের ইলিশ আসতে শুরু করে বরিশাল মোকামে। সোমবার (২৫ জুলাই) এবং মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ২ হাজার মনের বেশী ইলিশ এসেছে বরিশাল মোকামে।

দুই দিনে নদীর ইলিশ এসেছে সর্বসাকূল্যে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ মন। এদিকে মহিপুর, পাথরঘাটা আর চরফ্যাশন মোকামেও হাজার হাজার মন সামুদ্রিক ইলিশ এসেছে গত দুই দিনে।

পাইকরী বাজারে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সাগরের ইলিশ সাইজ ভেদে বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা মন দরে। অপরদিকে নদীর ইলিশ এলসি সাইজ ৪৫ হাজার, কেজি সাইজ ৫৫ হাজার এবং দেড় কেজী সাইজ প্রতিমন বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা দরে। তবে ইলিশের এই দামে খুশী নন স্থানীয় ক্রেতারা।

পোর্ট রোড মোকামে ইলিশের খুচরা ক্রেতা বাবলু জোমাদ্দার বলেন, বাজারে ইলিশের প্রচুর সরবরাহ। কিন্তু তারপরও দাম নিম্ন ও মধ্য বিত্তের নাগালের বাইরে।

মৎস্য আড়তদার ইয়ার হোসেন সিকদার বলেন, সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামী অন্তত ২ মাস সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন তারা। তখন দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে সামুদ্রিক জেলেদের দাবী, সাগরে ইলিশ আহরনে আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে। সেই তুলনায় ইলিশের দাম বাড়েনি।

বরিশাল মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, সাগর থেকে প্রতিটি ট্রলার একশ’ থেকে দেড়শ’ মন ইলিশ নিয়ে উপকূলে ফিরছে। এবার আহরিত ইলিশের সাইজ অনেক বড়। এটা সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল। এখন সেই সফুল ঘরে তুলছে জেলেরা।

আগামী ২ মাস অভ্যন্তরীন নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ আহরিত হবে বলে প্রত্যাশা মৎস্য বিভাগের।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন