বিএনপি নেতার চাঁদা বানিজ্য , চাঁদা না পেয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ News News Desk প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫ স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’ র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিশন না দেওয়ায় ইটবাহি ট্রাক আটকে দিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১ টায় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন কুয়াকাটা -বরিশাল মহাসড়ক চৌমাথা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর আওতায় চলা “নলছিটি হাউজিং এস্টেট ” দপদপিয়া ইউনিয়ন চৌমাথা কুয়াকাটা – বরিশাল মহানগরে চলা প্রকল্প বন্ধ রয়েছে। সেই সড়কের পাশে ‘নূর ব্রিকস ‘ এর পাঁচ টি ইটবাহি আটকে রাখা ট্রাক প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকল্প স্থানে ইট নামানো হয়। ইটবাহি ট্রাক ড্রাইভার মো. সাকিব জানান , আমরা “নূর ব্রিকস ” থেকে ইট নিয়ে বেলা ১১টায় দপদপিয়া ব্রিজ এর নিচে চলমান সরকারি প্রকল্প “নলছিটি হাউজিং এস্টেট ” এ যাচ্ছিলাম। দপদপিয়া ব্রিজ এর নিচে চৌমাথা কিছু স্থানীয় বিএনপি’র লোকজন আমাদের গাড়ির পথ আটকে দেয় এবং মাল না নামিয়ে ওই স্থান থেকে বারবার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ কোরে ফিরে যেতে বলে ছিলো। আমরা গাড়ি সড়কের পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেক ক্ষন। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা ইট নামিয়ে আসতে পেরেছি। ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, “নলছিটি হাউজিং এস্টেট ” সরকারি এ প্রকল্পের কাজ করতে আগে ইট যেটা নেয়া হতো এখনো সেটা নেয়া হচ্ছে। আগে লস দিয়ে মাল আনা হতো এখন কোম্পানি থেকে সরাসরি মাল আনা হয়। কিন্তু আগে কমিশন নিতো বিএনপি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি নান্টু মল্লিক, সহযোগী সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন। ইট যেহেতু ভাটা থেকে সরাসরি নিচ্ছে কতৃপক্ষ, তাই রিমনসহ তার সহযোগীদের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। আমরা ইট হাজার প্রতি ৫০০ টাকা দেবার জন্য রাজিও হই। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে হাজার প্রতি এক হাজার টাকা দাবি করা হয়। এর জন্য আমরা এখন কাজ বন্ধ রেখেছি। তারা আমাদের এমন টাও জানান যে তাদের দল পালতে এ টাকা লাগবে, তাই যেভাবেই হোক তাদের দাবি অনুযায়ী চাঁদা না দিলে কাজ করতে দিবে না এখানে। ঢাকা থেকে বরিশাল এসে এ বিষয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি। ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক জানান, বিএনপি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন সভাপতি নান্টু মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। তাদের সেই দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়াতেই আমাদের ট্রাক গুলো আটকে দিচ্ছে জহিরুল ইসলাম রিমন, সহযোগী নান্টু দুররানি, কালা ইউনুস, ধলা ইউনুস,কালাম সিকদারসহ বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলা ১০/ ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। চাঁদা না দিলে এখানে ব্যবসা করতে দিবেনা বলেও হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে আমাকে। প্রশাসনের সহযোগিতায় ইট পাঠালেও প্রশাসন চলে যাওয়ার পর আমার শ্রমিকদের উপর হামলা করেছে রিমন বাহিনী। নলছিটি উপজেলা থানা অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুস সালাম জানান, আমরা এক পক্ষের থেকে ইট নেয়ার কথা বোলে অন্য পক্ষে থেকে নেয়ার অভিযোগ এনে ইটবাহি ট্রাক আটকে দেওয়ার ঘটনা শুনে টহল টিম পাঠিয়ে স্থানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। মালিক পক্ষের সঙ্গে যে কথা সেটা আমরা তাদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছি এবং ইটবাহি ট্রাক চলাচলে বাঁধা দেওয়ার বিষয় সতর্ক করেছি। এ ঘটনার বিষয় বিএনপি দপদপিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিমন কে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকল্প এরিয়ায় ইট নামিয়ে আসায় প্রশাসন চলে যাওয়ার পর তাদের উপর হামলা করেছে রিমন বাহিনী। এ বিষয় আইনি সহযোগিতা চেয়েছেন নূর ব্রিকস এর মালিক। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: