বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : জো বাইডেন

News News

Desk

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : আমার প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।

ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে জো বাইডেন

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বাইডেনের কাছে তার পরিচয়পত্র দেয়ার সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন বলে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

রোববার (০৮) পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাইডেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের সম্পর্ককে ওয়াশিংটন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বলে।

করোনা মহামারির পরে প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি দূতদের গ্রহণ করেন বাইডেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ১০ জন তার সঙ্গে পরিচিত হন এদিন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান বাইডেনকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

বাইডেন বলেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আমি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী অংশীদারত্বের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করি।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইমরানের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমার প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

কারণ, আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।

বাইডেন তার লিখিত মন্তব্যে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিকসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে বলেও মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।

আমরা বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য বিনিয়োগ করছি। বাংলাদেশের সব নাগরিক যাতে স্বাধীনভাবে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সামর্থ্য অর্জন করে, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সে জন্য আমরা তাদের সমর্থন করি।

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

হোয়াইট হাউস থেকে ফেরার পর রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সূত্র : নিউজ বাংলা