দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ১

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের চোখে পিপার স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গ্রেফতার জঙ্গির নাম মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)।

তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, জঙ্গি মেহেদী হাসান আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। গ্রেফতার জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

সিটিটিসির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জঙ্গি আইমানের নেতৃত্বে গ্রেফতার জঙ্গি মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাই অপারেশনে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেট জেলায়।

সূত্রটি জানায়, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমউদ্দীন সামাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায়ও সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন গ্রেফতার জঙ্গি মেহেদী হাসান। হত্যাকাণ্ডের পর তারা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

গত রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গন থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এই ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেফতার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিরা প্রায়ই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

প্রথমে ত্রিশালের জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো প্রিজনভ্যানে হামলার করে সহযোগীদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে কাশিমপুর থেকে পুরান ঢাকায় আদালত পর্যন্ত আনা-নেওয়ার সময় প্রিজনভ্যানে হামলা করাটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাদের।

তাই তুলনামূলক কম নিরাপত্তা থাকায় তারা ছিনতাই অপারেশনের স্পট হিসেবে বেছে নেওয়া হয় আদালত প্রাঙ্গণকে। আর অপারেশনের জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিলেন সহযোগীরা।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম