অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সমাবেশস্থলে টানা দ্বিতীয় রাত কাটাচ্ছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাওয়া-দাওয়া করছেন তারা।
তাদের উজ্জীবিত রাখতে মিছিলে মিছিলে সমাবেশস্থল মুখরিত করছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ পথ হেঁটে আসা ক্লান্ত কর্মীদের মাঠে ধরে রাখতে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।
কর্মীদের নাচেগানে সমাবেশের আগের রাতে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে মাঠ ভরে গেছে দাবি করে মহানগর বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘এখনো দলে দলে আসছে মানুষ।’
লঞ্চ-বাসসহ সকল যানবাহন বন্ধ থাকায় দুইদিন আগে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন বরিশাল বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের খোলা মাঠে রাত কাটান হাজারো কর্মী। কেউ নিজস্ব ব্যবস্থায় রান্না করে আবার কেউ খেয়েছেন হোটেল রেস্তোঁরা থেকে খাবার এনে।
শুকনা খাবার খেয়ে, অনাহারেও মাঠে শুয়ে ছিলেন অনেকে। এই ধারাবাহিকতায় আজ রাতও মাঠে কাটাচ্ছেন হাজারো নেতাকর্মী।
তারা জানান, নিজের টাকা খরচ করে স্বেচ্ছায় সমাবেশে এসেছেন তারা। দীর্ঘ পথ হেঁটে সমাবেশস্থলে এসে ক্লান্ত হয়ে মাঠে শুয়ে আছেন অনেক নেতাকর্মী। নেতারাও তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
তবে নেতাদের ভরসায় নয়, নিজের খরচ নিজেই বহন করছেন তারা। খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও করেছেন নিজ নিজ উদ্যোগে। তবে আজ হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ থাকায় খাবার পাননি অনেকে।
দুই দিন ধরে মাঠে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মিছিলে মিছিলে সমাবেশস্থল মুখরিত করছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘টানা দুই দিন মাঠে কাটাচ্ছেন হাজারো নেতাকর্মী।
অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে দুই দিন আগে সমাবেশস্থল এসেছেন কর্মীরা। তাদের উজ্জীবিত রাখতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন দফায় দফায় মিছিল করছে মাঠের চারদিকে।’
উজিরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা আজাদ বলেন, ‘সমাবেশস্থলে আসা তাদের কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তারা নিজেরাই।
খেয়ে না খেয়ে মাঠে শুয়ে আছেন শুধু জাতীয় নেতাদের বক্তব্য শোনার জন্য। এর মাধ্যমে তারা আরও উজ্বীবিত হবেন।
এদিকে নেতাকর্মীদের বিনোদনের জন্য সমাবেশ মাঠে রাতে সাংস্কৃতিক আয়োজনও করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাস। এতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে সমাবেশস্থলে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘শুধু বিএনপির কর্মী নয়, সমর্থক গোষ্ঠীও দুইদিন আগে মাঠে অবস্থান নিয়েছে। দল এবং দেশকে ভালোবেসে মাঠে এসেছেন তারা। রাতেই মাঠ কানায় কানায় ভরে গেছে। আরও দলে দলে মাঠে আসছে। আগামীকাল (শনিবার) সমাবেশস্থল জনসমূদ্রে পরিণত হবে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আনুষ্ঠানিভাবে শুরু হবে বিএনপির গণসমাবেশ। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
