বরিশাল নগরীর হোটেলে হোটেলে যাচ্ছে পুলিশ News News Desk প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর ‘খোঁজ-খবর’ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। হোটলে মালিকরা বলছে নতুন করে বোর্ডার তুলতে প্রশাসন থেকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় মালিক সমিতির আওতায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। তবে মালিক সমিতি কয়েক বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সাবেক নেতারা কথা বলতে রাজি হননি। জানা গেছে, এসব হোটেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। হোটেল শাসম এর ব্যবস্থাপক মানিক হাওলাদার বলেন, নতুন বোর্ডার নিতে পারবো না এমন কোনো নির্দেশনা কেউ দেয়নি। তবে প্রশাসন থেকে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, যেন কক্ষ ভাড়া দেওয়ার যে নীতিমালা রয়েছে তা অনুসরণ করা হয়। তিনি বলেন, ভাড়া যিনি নেবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি তুলে রাখাসহ হালনাগাত তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে। হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালের উপ-ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান লিটন বলেন, নগরীর ভালো হোটেলগুলো বোর্ডার ভাড়ার নীতিমালা অনুসরন করে। আমরাও করি। হোটেল স্যাডোনা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক জহির বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই আমাদের হোটেলে বোর্ডারের চাপ বেশি। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত একটি সিটও খালি নেই। ওদিকে বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হোটেল রোদেলা ইন্টারন্যাশনাল ও কাঠপট্টি রোডের হোটেল ধানসিঁড়িতে মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন। এই খবরে অন্য হোটেলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে ‘পুলিশি অভিযানের’। এমনকি বিএনপির কয়েকজন নেতারা এই অভিযোগ করেন। হোটেল রোদেলা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক সৈকত হোসেন বলেন, আজকে পুলিশ সদস্যরা এসেছিলেন। তবে আমাদের কিছুই বলেননি। তারা এসে কিছুক্ষণ বসে আবার চলে গেছেন। সৈকত বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো হোটেল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। আশা করছি প্রশাসন এই কাজ করবেন না। কারণ কেউ যদি বিধি মেনে হোটেলে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, হোটেল তদারি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরন করছেন কিনা এসব খোঁজখবর নিতেই হোটেলে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে হোটেলে আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: