
অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের অন্তত ১৫ লাখ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
সরবরাহ লাইনে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ার কারণে বিভাগের সবগুলো জেলায় পল্লী বিদ্যুত সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বিভাগীয় কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ছয়টি সমিতির আওতায় ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬৬ জন গ্রাহক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকেই বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল বর্ষণে পল্লী বিদ্যুতের সবগুলো সঞ্চালন লাইন ও স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে গত তিন দিন ধরে এসব গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এসব লাইন মেরামতে নামেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মী ও প্রকৌশলীরা। একইসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় ভেঙে ও উপড়ে পড়া গাছ অপসারণ করা হচ্ছে।
এতে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪০ ভাগ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা গেলেও এখনও ৬০ ভাগ গ্রাহক অন্ধকারে।
পল্লী বিদ্যুতের বরিশাল বিভাগীয় তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩২টি পুল বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ক্রস আর্ম ভেঙে গেছে ৫৮২, ট্রান্সফরমার অকজো হয়েছে ১১৯টি, তিন হাজার ৮৩ স্থানে সঞ্চালন লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে, মিটার অকেজো হয়েছে ৪৯৫টি এবং ইনস্যুলেটর ক্র্যাক হয়েছে ৪৯৫টি। আর এতে আর্খিত ক্ষতির হয়েছে দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
পল্লী বিদ্যুতের বরিশাল বিভাগীয় তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী দীপঙ্কর মণ্ডল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলেন, ঝড়ে আমাদের অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুতের পুরো নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে গেছে।
আমরা কাজ করে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ৪০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সচল হয়েছে। বাকিটা সচল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, লাইনের ওপর অসংখ্য গাছ পড়েছে। সেগুলো অপসারণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। এতে সময় লাগছে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর