
অনলাইন ডেস্ক : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বেলগাছতলে (বিল্ববৃক্ষ) দেবীর আবাহন, সংকল্প ও ‘ত্রিনয়নী’ দুর্গা দেবীর ঘুম ভাঙিয়ে পূজা-অর্চনায় আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে দেবীকে বরণ করা হয়। রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে হবে মহাসপ্তমী বিহিতপূজা।
গতকাল থেকে দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজামন্ডপগুলো ঢাকের বাদ্য, চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠ, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
আগমন শুরু হয়েছে ভক্তদের। আগামীকাল সোমবার মহাষ্টমী, মঙ্গলবার মহানবমী ও বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ইতিমধ্যে পৃথক বানীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহাসপ্তমীর দিনে আজ ভোরে নবপত্রিকা প্রবেশ ও ঢাকঢোল, কাঁসর বাজিয়ে দেবী দুর্গার তিথিবিহিত পূজা শেষে সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শাস্ত্রমতে, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচার, অর্থাৎ আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য ও চন্দন এ রকম ষোলো উপাদান দিয়ে দেবীর পূজা-অর্চনা হবে।
কৃপালাভের আশায় দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন ভক্তরা। আজ থেকে মণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণ বাড়বে বলে জানান আয়োজকরা।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আজ জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহাসপ্তমীতে পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
আগামীকাল মহাষ্টমীতে হবে কুমারী পূজা। ওই দিন দুর্গা দেবীর মহাষ্টমীবিহিত পূজা, প্রশস্তা, ব্রতোপবাস ও পুষ্পাঞ্জলি। একই সঙ্গে কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করবেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, ‘কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রতিটি পূজাম-পে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরা আয়োজকেরাও সতর্ক আছি। প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম পালাক্রমে কাজ করবে। আশা করি নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর