নগরীতে আঙিনার জমি দখলের অভিযোগে অসহায় বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

News News

Desk

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : বসতঘরের সামনে আঙিনা (উঠান) এর ২ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ এনে দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় বিধবা এক নারী।

শনিবার (৮ জানুয়ারী) বেলা বারোটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্ন্তভূক্ত ৩নং ওয়ার্ড মতাসার এলাকার বাসিন্দা কহিনুর বেগম (৪৭)।

তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. সিরাজ হাওলাদার ( ২২)। সম্পর্কে তারা মা ও ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে উল্লখ থাকে, মতাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তরপশ্চিম কোন ৯ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন ফারুক হাওলাদার।

প্রায় ৯ বছর পূর্বে তার মুত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক হন কহিনুর বেগম সহ তাদের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এরমধ্যে বড় মেয়ে এক সন্তান রেখে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মারা গেছেন।

জমির এসএ ও বিএস পরচা সহ ভোগ দখলে থাকার পরও হঠাৎ চলতি ফ্রেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে স্থানীয় তিন জনের নেতৃত্বে আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে বসতঘরের সামনে থাকা আঙিনার ২ শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক ইটের দেয়াল দিয়ে স্টল নির্মাণ কাজ শুরু করে।

জমি দখলকারীরা হলেন- মতাসার এলাকার মো. মুনসুর ফকির এর পুত্র মো. মনির হোসেন ফকির (৪০), মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদারের দুই ছেলে মো. এনায়েত হোসেন তালুকদার ( ৫৩) ও হেমায়েত হোসেন তালুকদার (৪৮)।

তাদের নির্মাণাধীন কাজে বাধা দিতে গেলে তারা কহিনুর বেগম কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি স্থানীয় প্রতিবেশী মো. ইউনুস ফরাজীর ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন ফরাজী (৪৯), মো. মোসলেম উদ্দিন আকনের দুই ছেলে মো. আরিফুর রহমান রনি (৩৫) ও মো. মেহেদি হাসান সোহেল (৪০) এর কাছে ছুটে যান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যে সিদ্ধান্ত দিবেন বলে জানান।

তিনি তার জমি থেকে দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ সহ রিশালের প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কহিনুর বেগম বলেন, উঠানে ২ শতাংশ জমি দখল করে প্রতিপক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু করার পরের দিনই বরিশাল কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মো. বেল্লাল হোসেন ফরাজীর কাছে সাংবাদিকরা তার পরিচয়সহ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরিশাল মহানগর ৩নং ওয়ার্ড যুব দলের সদস্য সচিব এবং পেশায় আমি একজন ব্যবসায়ী।

অভিযুক্ত মনির হোসেন ফকির ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য এবং মতাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি।

আ.লীগ শাসনামলের মতই এখনও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার জমির আশেপাশে থাকা লোকজনদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। জমি দখল করা তার নেশা পেশা।

একই কথা ব্যক্ত করে মো. আরিফুর রহমান রনি (৩৫) বলেন, অসহায় নারী কেউ নেই। তার পক্ষে আমরা আছি এবং থাকবো। কারণ, অসহায় নারী ন্যায্য বিচার চায়।

এমন পরিস্থিতির কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন ফকির মুঠোফোনে বলেন, তিনি মৃত ফারুক হাওলাদারের বোনের কাছ থেকে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করছেন, তাই দলিলমূরে মালিক তিনি।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তরপশ্চিম কোন হাওলাদার বাড়ির লোকজনদের মধ্যে পুরো বাড়ির এসএ বিএস পরচা অনুযায়ী সরকারী আমিন দিয়ে সুষ্ঠুভাবে মাপ দেয়া হয়নি। যে কারণে জমি নিয়ে বাড়ির লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে।