বরিশালের মুলাদীতে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৪

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : বরিশালের মুলাদীতে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া।

এরআগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে মুলাদী উপজেলার চরপদ্মা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন-তরুণীর প্রেমিক মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামের আলমগীর আকনের ছেলে ফজলে রাব্বী (২০), একই এলাকার মৃত আজাহার গোমস্তার ছেলে বাতেন গোমস্তা (২২), আজিজ বেপারীর ছেলে রুহুল আমিন (২০) ও কালাম খানের ছেলে নাবিল খান (২০)।

মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া মামলার বরাতে জানান, উপজেলার উত্তর পাতারচর গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর সাত বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছর পর তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে ওই যুবতীর সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ে সূত্রে ফজলে রাব্বির প্রেম হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেমিক ফজলে রাব্বী ওই তরুণীকে নিয়ে চরপদ্মা এলাকায় মাছুম বিল্লাহর মাছের ঘেরে ঘুরতে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রথমে ফজলে রাব্বী ধর্ষণ করে।

তখন ঘেরে থাকা ৪ কর্মচারীরা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে আটক করে। পরে তারা প্রেমিক ফজলে রাব্বীকে মাছের ঘেরে একপ্রান্তে নিয়ে আটকে রেখে তরুণীর মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে। সন্ধ্যার পরে ওই তরুণী বাড়ি ফিরে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায়। তারা সফিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দেয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই চরপদ্মা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছের ঘের কর্মচারী বাতেন, রুহুল আমিন ও নাবিলকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই এলাকা থেকে ফজলে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জানান, তরুণীর বাবার করা মামলার আসামি চারজনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার পলাতক আসামি একই বাসিন্দা আবুল কালাম ব্যাপারীর ছেলে রবিন বেপারীকে (২০) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের কথা গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছেন।

ওই তরুণীকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।