নগরীর ২২নং ওয়ার্ডে আলালের দালালীর খপ্পরে বাড়ির মালিকেরা

News News

Desk

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৪
ছবি : শহিদুল ইসলাম সুজন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ড জিয়া সড়ক উত্তর ১ম গলি এলাকায় দরগাবাড়ির জমির ক্রেতাদের কাছে হাটার জন্য সড়ক তৈরি করে দেবার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে প্লট মালিকদের সুবিধা দিতে অবৈধ ভাবে অন্য ব্যাক্তিদের জমিতে সড়ক নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সেলিনা রহমান গণমাধ্যমকে বলেন- আমার মেয়ে মারুফা আকনের ভবনের পাশের (নিজেদের) জমি পাশ্ববর্তী বাসীন্দাদের হাটার জন্য ছেড়ে দেই।এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সেখান থেকে বেশ কয়েকটি পরিবার হাটাচলা করেন।

তবে সম্প্রতি একই এলাকার মৃত আফছার হাওলাদারের ছেলে আলাল হাওলাদার পাশ্ববর্তী প্লট ক্রেতাদের কাছ থেকে আমাদের জমির উপর দিয়ে হাটার জন্য সড়ক নির্মান করে দেওয়ার নাম করে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। আমার মেয়ে সড়কের বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করেন। শুধু তাই নয় – সড়কের মাঝে একটি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হলেও আলাল হাওলাদার কোন প্রকার আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে সেখানে পাকা সড়ক নির্মান করছেন। তিনি আরো বলেন অবৈধভাবে সড়ক নির্মান কাজে প্রতক্ষ ও পরক্ষ ভাবে সহযোগিতা করছে সংরক্ষিত (২২, ২৩, ও ২৭ নং ওয়ার্ডের) কাউন্সিলর রেশমী বেগম।

তিনি আরো বলেন, আলালের যোগসাজশে গত শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ সেলিম হাওলাদার’কে পরিকল্পিত ভাবে আটক করে নিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে সেলিনা রহমান আরো জানান- রেশমি কাউন্সিলরের সচিব মো: আসাদুজ্জামান ও আলাল হাওলাদারের পক্ষ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে অসৈজন্য মূলক ব্যবহার করেছেন।

মারিয়া নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন- এই সড়ক নির্মানের কারনে আমাদের ঘরে অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলাল হাওলাদার বলেন, এখানে টাকা-পয়সা নেওয়ার কোন প্রশ্ন’ই আসেনা।আমার বিরুদ্বে সকল অভিযোগ মিথ্যা।

এদিকে (সংরক্ষিত)কাউন্সিলর রেশমি বেগম বলেন- ওখানে আগে থেকেই সড়ক ছিলো। আর আমি কি ভাই আজকের কাউন্সিলর তোমরাই বলো ? এখানে আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেবো, এটা তো সম্পূন্য একটা মিথ্যা রটনা ছাড়া আর কিছু না।

এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) আরিচুর রহমান বলেন, আমরা গতকাল জিয়া সড়ক থেকে একজনকে আটক করেছি। আটককৃত ব্যক্তি’র বিরুদ্ধে বিসিসির সরকারী কাজে বাধা, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

তবে পুলিশ ওই জমিতে দাড়িয়ে থেকে কাজ করাতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, না পুলিশ কারো পক্ষে কাজ করতে পারবে না। তবে এমন যদি হয়ে থাকে আমি এবিষয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এদিকে, ভুক্তভোগীর দাবি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ওসি ও কাউন্সিলরের সহযোগিতায় তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও তাদের জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করছেন।