বরিশাল নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের নার্সিং কোয়ার্টারের পুকুর ভরাট বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নার্সিং কোয়ার্টারের পুকুর ভরাট কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা একটি জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বেলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না সোমবার সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, হাইকোর্ট বিভাগ বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বগুড়া আলেকান্দা মৌজার নার্সিং পুকুর ভরাট কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি আদালত পুকুরটি ভরাট কার্যক্রম থেকে রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে বিবাদীদের ব্যর্থতা সংবিধান ও প্রচলিত আইনের পরিপন্থি হওয়ায় তা কেন অবৈধ, আইন বর্হিভূত ও জনস্বার্থ বিরোধী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশ দেন।

এছাড়া পুকুরের ভরাটকৃত অংশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং পুকুরটিকে জনসাধারনের জন্য সংরক্ষণে বিবাদদের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশালের জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক, বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বরিশালের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বগুড়া আলেকান্দা মৌজায় এস এ ২৪৫৪ নং দাগে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ আয়তনবিশিষ্ট একটি পুকুর রয়েছে। যা ‘নার্সিং কোয়াটার’ পুকুর নামে পরিচিত। সম্প্রতি রাতের আঁধারে জনগুরুত্বপূর্ণ এই পুকুরটির একাংশ ভরাট করা হয়।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন