পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় বাথরুমের চালের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় রুমিয়া (১৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিব সড়কের বশির হাওলাদেরর ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূর রুমিয়া পানপট্টি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক গাজীর ছোট মেয়ে। তার স্বামী বোরাকচালক মো: শাহীন ফকির (১৯)। তিনি পানপট্টি ইউনিয়েনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবির হাওলা গ্রামের বেল্লাল ফকিরের ছেলে। পরিবারসহ তারা গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বশিরের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

স্বজনদের দাবি স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যা করে বাথরুমের চালের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের বাবা রফিক গাজী জানান, পারিবারিকভাবে সাত মাস আগে একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিবির হাওলা গ্রামের বেল্লাল ফকিরের ছেলে শাহীন ফকিরের সাথে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সয়ম যৌতুকের জন্য মারধর করত স্বামী। এমনকি বাবার বাড়ি বেড়াতে পর্যন্ত যেতে দিত না। প্রায়ই মেয়ে ফোন করে মারধরের কথা তাদের জানাত।

তিনি আরো বলেন, লাশ দেখে মনে হচ্ছে না রুমিয়া আত্মহত্যা করেছে। এটা হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। রুমিয়ার বড় বোন সুমি বলেন, সোমবার রাতে রুমিয়া ফোন করে তাকে জানান স্বামী তাকে মারধর করেছে। এর আগেও ফোন করে প্রায়ই বলত স্বামীর মারধরের কথা। তার সবসময় বুঝিয়ে রাখত।

শাহীন অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে এমন কথাও তার বোন রুমিয়া তাকে বলেছেন। সুমি দাবি করেন রুমিয়াকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না।

রুমিয়ার স্বামী শাহীন বলেন, ‘আমি তাকে কেন হত্যা করব? সে কেন মারা গেছে আমি জানি না’। সে যৌতুকের বিষয় অস্বীকার করেন। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বজনদের কোনো অভিযোগ থাকলে মামলা নেয়া হবে।

সূত্র : বিডিক্রাইম