বরিশালে বাজুসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩
ছবি : সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়

অনলাইন ডেস্ক : ‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ এ স্লোগানে বরিশাল বিভাগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গণে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন বাজুসের বরিশাল জেলা শাখার নেতারা।

পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে নগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এ সময় বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছিলো র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে হাতে। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে র‌্যালিটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বর পৌঁছায়। অশ্বিনী কুমার হলে বাজুসের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ও শাহাদাত অ্যান্ড সন্স জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী শেখ মো. মুসার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুসা বলেন, বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বিশ্বে জুয়েলারি শিল্পে মডেল হবে বাংলাদেশ। তার ব্যবসায়িক প্রজ্ঞা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শিতায় আগামীতে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বের সুদক্ষতায় ও পরিকল্পনায় জুয়েলারি শিল্পে ফিরবে প্রাণ।

সভায় বাজুসের বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মেসার্স আমিন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী নুরুল আমিন বলেন, আমরা আমাদের মনের কথা বলার জায়গা পেয়েছি আর সেটা হলো বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এখানে আমরা যোগ্য নেতৃত্বও পেয়েছি।

তিনি বলেন, আগামীতে আমাদের শুভ দিন আসছে, আজ দেশের গার্মেন্টস সেক্টর যেভাবে বিদেশি অর্থ বা রেমিটেন্স নিয়ে আসছে, আমরাও সেভাবে মেইড ইন বাংলাদেশ- এর স্বর্ণালংকার বিদেশে রপ্তানি করে দেশের জন্য রেমিটেন্স নিয়ে আসতে পারবো। যেসব কারণে আমাদের কারিগরি শিল্পীরা অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তারাও নিজেদের পেশায় ফিরে আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অচিরেই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো, দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবো সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে। সামনে এমন দিন আসছে যে, বাজুসের সদস্য হওয়া ছাড়া কেউ স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন না। আর এ ব্যবসা করতে হলে সরকারকে ভ্যাট, আয়কর দিতে হবে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। আর স্বচ্ছভাবে বাজুসের নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করলে কোনো ধরনের সমস্যাই থাকবে না। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে ব্যবসা করতে পারবেন। স্বর্ণ ব্যবসা হলো আন্তর্জাতিক মানের একটি ব্যবসা। এজন্য আমাদের মন-মানসিকতাও বড় করতে হবে।

হলমার্ক ব্যবহারের ওপর জোড় দিয়ে নুরুল আমিন বলেন, অনেকেই রয়েছেন আমাদের কাছ থেকে স্বর্ণ কেনেন, আবার বিক্রিও করেন। তাই ক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ কেনার আগে ম্যামো দেখে নেবেন। আমরা বাজুসের নিয়ম মেনে ব্যবসা করবো, ক্রেতাদের সঙ্গে নমনীয় আচরণ করবো, যে কোনো সমস্যা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করবো। এখানে আমরা সবাই ভাই ভাই। সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বরিশালের ৬০০ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সবাইকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে।

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় বাজুসের বরিশাল জেলা শাখার সহ-সাধারণ পুলক কুমার দাসের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক অরুন চন্দ্র দাস, মো. আরিফুর রহমান, সদস্য লাল মিয়া ও মো. মাহাবুব শরীফ প্রমুখ।

এছাড়া সভায় বরিশালের স্বর্ণ ব্যবসায়ী, কারিগরি শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে গত ৫৭ বছরে প্রয়াত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্মরণে এক মিনিট নীরাবতা পালন করা হয়।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম