বরিশাল নগরীতে একরাতে ৯ দোকানে চুরি

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরের চৌমাথা এলাকায় ৯ টি দোকানের টিনের চাল কেটে একই রাতে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে চোর চক্র।

চুরির বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ নিয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষ করে টিনশেড দোকানঘরের মালিকরা রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। তারা দ্রুত এ চোরচক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল রাত ১ টা থেকে দেড়টার মধ্যে বরিশাল নগরের চৌমাথা এলাকার মিতালী প্লাজার ৯ টি দোকানের এ চুরির ঘটনা ঘটে। যেখানে চোরচক্র ৯ টি দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ টাকা, মূল্যবান বহনযোগ্য মালামাল লুটে নেয়। যারমধ্যে মধ্যে ২ টি কসমেটিক্সের দোকান, ২ টি ভ্যারাইটিজ স্টোর, একটি ফার্মেসী, একটি বইয়ের দোকান, একটি সেলুন, একটি জুতার দোকানসহ ৯ টি দোকান রয়েছে।

চুরি হওয়া মারুফ এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানের প্রোপাইটর রাশেদুজ্জামান মারুফ বলেন, গত ১৯ মে রাতে সাড়ে ৯ টার দিকে যথারীতি দোকানঘর বন্ধ করে স্টাফরাসহ আমি বাসায় চলে যাই। পরের দিন ২০ মে সকালে এসে দোকানের সাটারের তালা খুলে ভেতরে তাকাতেই সবকিছু এলোমেলো দেখতে পাই।

তারপর ভেতরে ঢুকে টিনের চালা কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে বুঝতি পারি দোকানে চুরি হয়েছে। এরপর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেও বিষয়টি নিশ্চিত হই, যেখানে চোরের চেহারাও অনেকটা স্পষ্ট, তবে স্থানীয়রা কেউ চিনতে পারেনি।

এদিকে সবকিছুর হিসেবে করে দেখি বিকাশ ও মোবাইল বিকিক্রর নগদ দেড়লাখ টাকা ও ৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি এন্ড্রয়েড ফোনসেট চোরেরা নিয়ে গেছে জানিয়ে ব্যবসায়ী মারুফ বলেন, ওই রাতে শুধু আমার নয় পাশের সোহেল ভাইয়ের দুটি দোকান, কালাম ভাইয়ের জুতার দোকান, একটি ফার্মেসী, দুটি কসমেটিক্সের দোকানসহ আমাদের এ মার্কেটের ৯ টি দোকান একইভাবে টিনের চালা কেটে চুরি হয়েছে। সবারই নগদ টাকা ও বহনযোগ্য ছোট মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।

তিনি বলেন, এ ঘটনা তাৎক্ষনিক মার্কেটের মালিক ও থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে অন্য ব্যবসায়ীরা এখনও অভিযোগ না দিলেও আমি থানা পুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে রেখেছি। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দিয়েছি, যদি কাউকে গ্রেফতার করতে পারে তাহলে লিখিত অভিযোগটিই মামলায় রুপান্তর হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে কখন কার দোকানে চুরি হয়। এভাবে প্রধান সড়কের পাশে চুরি হবে সেটা তো কেউ-ই কল্পনা করতে পারেনি।

এদিকে ৯ টি দোকনে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে মিতালী প্লাজার মালিক পক্ষের গাজী মাহমুদ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা চোরচক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন। পুলিশকে সার্বিক সহযোগীতা করতে দোকান মালিকদের বলা হয়েছে, তারাও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দিয়ে এরইমধ্যে সহযোগীতা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমান উল্লাহ বারী জানান, এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে, আমরাও বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখছি। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ কয়েকজনকে নজরদারীতেও রেখেছি। আশাকরি ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আনা হবে।