অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে নৌকার প্রচারণা চালানোয় আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর (খোকন সেরনিয়াবাত) তিন সমর্থককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বিরুদ্ধে মারধর ও অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ রয়েছে।

রোববার (১৫ মে) রাত দেড়টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসআই সাইদুল হক।

তিনি বলেন, বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বাসা থেকে মান্নাসহ ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মান্না ও তার সহযোগীদের মারধরে আহত হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকনের তিনজন অনুসারী শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। আহতরা হলেন- সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিম শাহ, মনু ও জাহিদ ভূঁইয়া।

হালিম শাহ অভিযোগ করে বলেন, রোববার আমাদের এক বন্ধুর লাশ কীর্তনখোলা নদীতে পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় তাকে দাহ করতে মহাশশ্মানে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নৌকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরার পথে মান্না তার বাহিনী নিয়ে আমাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।

মনু বলেন, আমাদের অপরাধ হচ্ছে খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে মাঠে নির্বাচনে নামা। মান্না চাচ্ছে না আমরা নৌকার হয়ে কাজ করি। এজন্য পিস্তল ঠেকিয়ে আমাদের মারধর করেছে। আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে।

জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, মান্নার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ বা কথা কাটাকাটিও হয়নি। আমাদের অন্যায় হলো আমরা নৌকার জন্য কাজ করি।

এ কারণে আমাদের কুপিয়েছে। আমরা যেন নৌকার পক্ষে কাজ না করি সেজন্য আমার কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছে।

এদিকে কর্মীদের মারধর ও হুমকির খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

যদিও আটকের আগে অভিযুক্ত মান্না দাবি করে বলেন, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ যেন বরিশালে না আসতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

আমি বিগত কয়েকদিন ধরে সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছি। যারা অভিযোগ তুলেছেন, তারা এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন।

এর আগে ৭ মে মান্নার বিরু‌দ্ধে তিনজনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর ও হুমকির অভিযোগে কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোহাগ। তিনিও আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর নির্বাচনী কর্মী।

প্রসঙ্গত, মান্না বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট