নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ, আটক ২৩

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় ১৬ জন ও সদর থানায় ৭ জন রয়েছেন।

তবে পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সন্দেহে এদেরকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন শিকদার জানান, তাদের মোট ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিবকে আটকের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু জানান, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় তারা ১০ জনকে আটক করেছন।

আটকদের মধ্যে রয়েছে বন্দর থানার মদনপুর এলাকার বাহার উদ্দিন সান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (১৮), একই এলাকার মৃত আমানুল্লাহ মিয়ার ছেলে বাদল (৩৩), ভজনপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে জিহাদ ওরফে আলভি (১৮), বন্দর ইউনিয়নস্থ কুশিয়ারা এলাকার মৃত কবির হোসেনের ছেলে রিপন(১৮), কুড়িপাড়া এলাকার শরিফ হোসেনের ছেলে মো. ফয়সাল (২২), একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় (১৮),

নয়ামাটি এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে সিয়াম(১৯), ধামগড় এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে তানভির হোসেন(১৮), নামাপাড়া এলাকার মৃত সাহারাম মিয়ার ছেলে ইমরান (১৮), গাজীপুর এলাকার মৃত আলী আক্কাস মিয়ার ছেলে জনি (৩০), শাহী মসজিদ বউবাজার এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে সোহান (১৮),

মেঘনা বউবাজার এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে রিমন (২১), একই এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে ইমন (১৮), সোনারগাঁ থানার বারদী এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে তুহিন (১৬), রূপগঞ্জ থানাধীণ গাউছিয়া এলাকার রাজিব (৩৮) ও আড়াইহাজার ধানাধীণ রামচন্দ্রদী এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৮)।

আটকদের নামে মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, না.গঞ্জ ২ নম্বর রেলগেটে বিএনপি নেতা কর্মীরা পুলিশের উপরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার ঘটনায় সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না এখন বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, পহেলা সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। এছাড়া সাংবাদিক, পুলিশ, স্কুলছাত্রী ও পথচারীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক আহত হয়।

সূত্র : দেশ রূপান্তর