শেবাচিম হাসপাতালে ববি শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

News News

Desk

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা প্রশমন করতে থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে হয়।

এদিন দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালের পাঁচতলার কেবিন ব্লকের পাশে কেন্টিন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। কিন্তু শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম ও ময়িদুর রহমান বাকীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এবং আহমেদ সিফাতের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বিভিন্ন ঘটনায় তাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ দেখা দেয়। সর্বোশেষ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) গভীররাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের দুই গ্রুপের মাঝে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে উভয় গ্রুপের মোট ৭ জন আহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়।

প্রথমে ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে তারা চিকিৎসা নিলেও এখন অনেকেই সাধারণ কেবিন ও স্টুডেন্ট কেবিনে রয়েছে। এরমধ্যে হাসপাতালের পাঁচতলার একটি কেবিনে ভর্তি রয়েছেন বাকী। আর ষ্টুডেন্ট কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিফাত।

বাকী গ্রুপের রক্তিম অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে কেবিন সংলগ্ন কেন্টিনে খাবার খেতে যায় বাকী। এ সময় হাসপাতালের স্টুডেন্ট কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমেদ সিফাত দলবল নিয়ে বাকীর উপর হামলা চালায়।

ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে বাকীর মা ও ছোট ভাই রাজী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তাদের উপরও হামলার চেষ্টা করে সিফাত ও তার ভাই নুরুজ্জামান মাফির নেতৃত্বে দলবল। তারা বাকী ও তার মা এবং ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে বলে অভিযোগ করে রক্তিম বলেন, সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।

এসময় পুলিশকে হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে সিসি টিভি ফুটেজ দেখলে কারা হামলা করেছে প্রমাণ হবে জানিয়ে সিফাত বলেন, বাকীর নেতৃত্বে তার কেবিনে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তবে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিলো। তারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং পুনরায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এ জন্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে হাসপাতালে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে রোগী ও তার স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।