আমতলীতে বাস পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার ৯

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : আমতলীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো অনেককে। এঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জনকে। তাদেরকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি জামাতের দ্বিতীয় দফা অবরোধ চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময় আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আরপাঙ্গাশিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে আপ্তের ডাক্তার বাড়ীর সামনে দুবৃত্তরা সাকুরা (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৮৫৭১) পরিবহনের একটি বাস ভাংচুর করে তাতে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে বাসটি সম্পূর্ন পুরে ছাই হয়ে যায়।

ওই বাসটি রাত ৯ টার সময় বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি রাত সাড়ে ৯টার সময় আরপাঙ্গাশিয়া নামক স্থানের আপ্তের ডাক্তার বাড়ির সামনে আসা মাত্র দুবৃত্তরা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে বাসটির গতি রোধ করে প্রথমে ভাংচুর করে পরে তারা বাসের ভিতর পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এসময় বাসে থাকা যাত্রী, সুপার ভাইজার এবং চালক কোন রকম নেমে জীবনে রক্ষা পায়। এঘটনায় বাসের চালক মো. বাবুল হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অনেকে অজ্ঞাত আসামী করেন।

মামলার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল বশির হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, কাওছার হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার, আলামিন প্যাদা, খবির হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার মাসুম তালুকদার ও আবুল হাওলাদার।

মামলার বাদী বাসের চালক মো. বাবুল হোসেন বলেন, সেদিন যে ভাবে বাস ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া হয়েছে তাতে বাঁচার কোন উপায় ছিল না। আল্লাহর দয়ায় কোন রকম জীবন বাচিয়েছি। আমি এঘটনার বিচার চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মো. আমির হোসেন হাওলাদার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বশির, খবির ও আলামিনকে সন্দেহ ভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখয়াত হোসেন তপু বলেন, বাস পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৯জনকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

সূত্র : বিডিক্রাইম