বরিশালে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন News News Desk প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে মাদ্রাসা ছাত্রী শিশু তন্নি আক্তার (৯) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পৃথক দুটি রায়ে ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এই রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হল, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড নবগ্রাম রোড খান সড়ক এলাকার শাহরিয়ার খান শাকিল, বাছেদ প্যাদা ওরফে বাঁঘা ও ইমাম হোসেন হাওলাদার। এর মধ্যে ঘটনার সময় ইমাম হেসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার হয় শিশু আদালতে এবং অপর দুই আসামীর বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। রায় ঘোষনার সময় শাহরিয়ার শাকিল ও ইমাম হোসেন কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও অপর আসামী বাছেদ প্যাদা বাঘা খান পলাতক ছিল। নিহত তন্নি বরগুনার লাকুরতলা এলাকার টুনু পালোয়ানের মেয়ে। তার পরিবার নবগ্রাম রোড খান সড়কের খালেক খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তন্নি স্থানীয় ফজলে উলুম মাদ্রাসার নার্সারী শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বেঞ্চ সহকারি হুমায়ুন কবির মামলার উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ১০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু তন্নিকে একই এলাকার শাহরিয়ার শাকিল ফুসলিয়ে তার বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিল, বাছেদ ও ইমাম পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষন এবং এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অটোরিক্সা যোগে তার লাশ ওই এলাকার আল আমিনের বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন তন্নির বাবা টুনু পালোয়ান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান ২০১৭ সালের ২২ জুন ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার এক আসামী ইমাম হোসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার হয় শিশু আদালতে এবং অপর দুই আসামীর বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০২০ সালে ইমাম প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ১৭ জনের সাক্ষ্য-প্রমানে শিশু তন্নিকে ধর্ষন ও হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ৩ আসামীর সকলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান বেঞ্চ সহকারি হুমায়ুন কবির। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশু তন্নির বাবা রিক্সা চালক টুনু পালোয়ান ও রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশুলি ফয়জুল হক ফয়েজ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES আইন আদালত বিষয়: