বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার News News Desk প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কালাচান কুমার ঘোষের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। রবিবার (১৪ মে) সকালে বরিশাল নগরের চাঁদমারী খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীর তীর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত কালাচান কুমার ঘোষ বরিশাল নগরের বাজাররোড এলাকার বাসিন্দা । মৃতের ভাইয়ের ছেলে সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, শনিবার (১৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে কালাচান কুমার ঘোষ কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চাঁদমারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী নাছির ভাই বাসায় ফোন দিয়ে কাকিমা নিপা রানী ঘোষের কাছে ফোন দেন এবং জানান, কালাচান কুমার ঘোষ মোবাইল ফোন রেখে গেছেন তার কাছে, এরপর আর আসেননি, কেউ যেন গিয়ে সেটি নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এরপর রাতে গিয়ে আমরা মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসি এবং কালাচান কুমার ঘোষের জন্য অপেক্ষা করি। তবে সকাল অব্দি ফিরে না আসায় কোতোয়ালি মডেল থানা, আদালত ও হাসপাতালে অনুসন্ধান চালিয়েও তার খোঁজ পাইনি। পরে নৌ পুলিশ আমাদের ফোন দিয়ে থানায় যেতে বলেন। তখন সেখানে গিয়ে জানতে পারি কালাচান কুমার ঘোষের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি। মৃতের একমাত্র সন্তান অন্তু ঘোষ জানান, কারও সাথে বিরোধের তেমন কোন বিষয় জানা নেই। তবে বালু ব্যবসায়ী নাছির কাকার ওখানে যাওয়া আসা ছিলো বাবার। মৃতের ভাই ব্যবসায়ী অশোক ঘোষ জানান, তার ভাই ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রি। এক সন্তানের জনক সে। শনিবার (১৩ মে) রাত আটটার পর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে। অশোকের দাবি, যেখান থেকে ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার যাওয়ার কথা নয়। ভাইয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করছেন তিনি। এ দিকে সুরতহালে উদ্ধার হওয়ার মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই আলাউদ্দিন আল মাসুম। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ সকালেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারের সময় মৃতের পরিচয় জানা না গেলেও পরে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: