৭ এমপি পদত্যাগের মাশুল দেবে বিএনপি : সেতুমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে তারাই জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে।

আবার তাদের দোসররাই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এগুলো সবই একইসূত্রে গাঁথা।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের পুনবার্সিত করেছেন এবং জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় কারাদণ্ড প্রাপ্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় আজ তিনি বাসায় আছেন, নিরাপদে আছেন। বিএনপি কি আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেছে?

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-খুনের বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। মানুষ খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই ৭ এমপি পদত্যাগের মাশুল বিএনপিকে দিতে হবে।

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাড.কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বিএনপিকে সন্ত্রাসের রাজনীতি পরিহার করে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা বিরাজনীতিকীকরণ করার মধ্য দিয়ে নৈরাজ্য, হতাশা সৃষ্টি এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করার লক্ষ্যে অশুভ রাজনীতি করে যাচ্ছে।

বিএনপিকে কাগুজে বাঘ উল্লেখ করে নাছিম বলেন, তোমরা মিথ্যা হুংকার দাও। তোমাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না এবং তোমাদের হুংকারে মানুষ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমরা লড়াই করতে জানি, যুদ্ধ করতে জানি। আমরা রাজপথে ছিলোম, আছি। দেশের মানুষ খুন, গুম ও নীতিহীন রাজনীতিবিদদের কখনো সমর্থন করবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশিরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো উপায় নেই। নির্বাচনে না আসলে অস্তিত্ব হারাবে বিএনপি।

সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১০ ডিসেম্বরের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা লজ্জায় পদত্যাগ করেছেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।

বিএনপিকে মিথ্যাবাদী-ভাওতাবাজির দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জনগণের সাথে ভাওতাবাজি করে, দলের নেতাকর্মীদের সাথেও ভাওতাবাজি করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল দলের কর্মীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে নাশকতা করে সরকারকে বিব্রত করে পতন ঘটাবে।

হানিফ আরও বলেন, এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার, খালেদা জিয়ার সরকার নয়। আওয়ামী লীগ সরকাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যায় না। কারণ আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এতো গভীরে যে, এই গাছকে বারবার ধাক্কা দিয়েও ফেলা যায়নি। যারা ধাক্কা দিতে এসেছে তাদেরই পতন হয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে চায় না। এতিমের টাকা আত্মসাত করা খালেদা জিয়া ও দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সন্ত্রাসী তারেক রহমানকে দেখতে চায় না।

জনসভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনী, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : দেশ রূপান্তর