বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে ভূতের রূপ নিয়েই আসে : প্রধানমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : সরকারের ঢালাও সমালোচক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষও খুনি তারেক ও এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী খালেদা জিয়ার সুরে গণতন্ত্রের কথা বলেন। তারা আসলে বুদ্ধিজীবী নন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীজীবী। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষও জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তখন কথা বলেছিলেন। এখনো অনেকে আছেন খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সঙ্গে। মানি লন্ডারিং, অস্ত্র কারবারি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি তারেক। খালেদা জিয়া এতিমের টাকার আত্মসাতের মামলার আসামি। এই অপরাধীদের সঙ্গে এখন অনেক জ্ঞানী-গুণীও গণতন্ত্রের কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতাই চায়নি তারা এ দেশের উন্নয়ন কখনোই দেখবে না। মানুষ সামনের দিকে আগায়, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পেছনে যায়, ভূতের মতো। তারা মনে হয়, আমাদের দেশে ভূতের রূপ নিয়েই আসে। তিনি বলেন, মানুষের ভোট চুরি করলে মানুষ ছেড়ে দেয় না-এটা খালেদা জিয়ার মনে থাকা উচিত। জনগণ স্বতঃফূর্তভাবে আমাদের ভোট দেয়। ভোট কারচুপির কালচার দিয়েছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে জনগণের ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। না ব্যালট পাওয়া যায়নি। সব হ্যাঁ ভোট ছিল। এসময় ছাত্রদলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার পেটুয়া বাহিনী সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে ভিসিকে সরিয়ে নতুন আরেকজনকে বসিয়ে দিয়ে ভিসির পদটাও দখল করে নেয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকসহ বহু নেতাকর্মী হত্যা করে। তাদের অত্যাচার নির্যাতনে সারাদেশ ছিল নির্যাতিত। শুধু ক্ষমতায় থাকাকালেই নয়, ক্ষমতার বাইরে থেকেও তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা সবার জানা। ২০১৩-২০১৪ সালে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে দগ্ধ করে তারা। বাস-লঞ্চ-রেল কোনো কিছুই তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট’-এর প্রতিবাদে আমি ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, শিক্ষা শুধু নিজেরাই গ্রহণ করবে না, গ্রামে গিয়ে নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষা দেবে। তারা সেটিই করেছে। আমাকে রিপোর্টও দিয়েছে। আমাদের পেটুয়া বাহিনী লাগে না। সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে লেখাপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, লেখাপড়া শিখে এদেশের উপযুক্ত নাগরিক হতে হবে যেন বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে। তিনি বলেন, আমি চাই বাংলাদেশে আমাদের যারা নেতাকর্মী তারা সেইভাবে গড়ে উঠবে যে এই দেশের স্বাধীনতার চেতনা কেউ মুছে ফেলতে না পারে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে না পারে, খুনি, রাজাকার, আল বদর, যুদ্ধাপরাধী এরা যেন কোনদিন এই দেশে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেইভাবেই জনমত সৃষ্টি করতে হবে। যে যাই করুক না কেন লেখাপড়াটা শিখতে হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে কাজ করতে গেলে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানব শক্তি দরকার উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যুব সমাজ যারা আমাদের ভবিষ্যত, তারাই ২০৪১ এ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। তাদেরকে আমরা দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। তারা প্রযুক্তি এবং কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে এবং আমাদের আরও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দোয়া ও আশীর্বাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকেরই, যারা মেধাবী তাদের নিজেদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা যেমন নিজেদের করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাও দিতে হবে। কারণ, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার দরকার। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনীতিও যেমন দরকার আবার সেইভাবে আমাদের প্রশাসন বা কারিগরি সব ধরনের শিক্ষার দরকার রয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: